ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় | ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় এবং ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় কি কি রাখা উচিত এই সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক সমস্যা যা সারা জীবনের জন্য বয়ে বেড়াতে হয়। সূতরাং ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ কি,ডায়াবেটিস এর লক্ষণ কি এবং কিভাবে প্রতিকার করা যায় বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে,নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি।সারা বিশ্বে এর কারণে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সূতরাং ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন হতে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

আরম্ভ

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় এবং ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় যা রাখা দরকার বিস্তারিত জানবো। ডায়াবেটিস কখন হয়, যখন শরীর রক্তের সব চিনিকে (গ্লূকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়,তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটিরও বেশি।বর্তমানে এই সংখ্যা চার গুণ বেশি।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় তা জেনে নিন। ডায়াবেটিসের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।ডায়াবেটিস কিডনির ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে, যার ফলে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।ডায়াবেটিস চোখের রেটিনায় রক্তনালীগুলোর ক্ষতি করে দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দিতে পারে এবং অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।


ডায়াবেটিস হলে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেই সথে শরীরের ত্বক নষ্ট হয় এবং চুল পড়ে যায়। শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতির শিকার হতে পারে। ডায়াবেটিস হলে পায়ে বা অন্যান্য অঙ্গে স্নায়ুর ক্ষতি, পায়ের ব্যথা, অবশ অনুভূতি বা ক্ষতজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পায়ে ক্ষত হলে সেগুলো গ্যাংগ্রিনের মতো জটিল অবস্থার দিকে যেতে পারে। অতএব বোঝা গেল, ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়।


ডায়াবেটিসের রোগীদের ত্বক সংক্রমণ,ত্বক শুষ্ক এবং অন্যান্য চর্মরোগ বেশি হয়ে থাকে। ডায়াবেটিসের কারণে দাঁত ও মাড়িতে সংক্রমণ এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।ডায়াবেটিসের কারণে মানসিক চাপ, হতাশা ও উদ্বেগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় তা সহজেই বোঝা যায়।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

প্রতিদিন একই ধরনের খাবার না খেয়ে, বিভিন্ন রকমের ফলমূল, শাকসবজি এবং শ্বেতসার-জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।যেমন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় রাখাতে হবে- লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি ও আলু।


ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত। যেমনঃ ডিম, মাছ, মাংস, শিম ও অন্যান্য বীজ, ডাল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার রাখা।যেমনঃ দই, ছানা ও পনির।সাথে বিভিন্ন ধরনের তেল, মাখন, ঘি রাখা প্রয়োজন।

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকার অন্তর্ভূক্ত করা হয়ে থাকে এই খাবারগুলো।যথাঃ চিনি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার।যেমনঃ চিনি, মধু, সিরাপ, কেক, মিষ্টি, ডোনাট, আইসক্রিম, চকলেট সফট ড্রিংকস, ফলের রস (চিনিযুক্ত), এনার্জি ড্রিংকস ইত্যাদি।


ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকার মধ্যে প্যাকেটজাত খাবার অন্যতম। যেমনঃ চিপস,বেকারির খাবার, প্যাকেটজাত নুডলস, সসেজ, সস, প্রক্রিয়াজাত মাংস প্রভৃতি।ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকার মধ্যে উচ্চ গ্লাইসেমিক খাবারকে একদম না করুন। যেমনঃ সাদা ভাত, সাদা রুটি, পাস্তা, ভাজা আলু।


ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকার মধ্যে উচ্চ ফ্যাটযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকস, ভাজা খাবার, চিপস, পপকর্ন এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার-পুরো দুধ, ক্রিম, চিজ একেবারেই না করুন।

বেশি মিষ্টি জাতীয় ফল ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকার মধ্যে পড়ে। যেমনঃ কাঁঠাল, আম, কলা, আনারস, আঙ্গুর।এছাড়াও অ্যালকোহল, মিষ্টি ওয়াইন, বিয়ার এবং বেশি ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় যেমন- চিনিযুক্ত কফি ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকার অন্তর্ভূক্ত।

ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ

ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হলো শরীরে ইনসুলিনের অভাব বা ইনসুলিনের কার্যকারিতার ব্যাঘাত। ডায়াবেটিস প্রধানত দুই ধরনের হতে পারে। যথাঃ টাইপ ১ এবং টাইপ ২।

টাইপ ১ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ
টাইপ ১ ডায়াবেটিসে শরীরের ইমিউন সিস্টেম নিজেই ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলোকে ধ্বংস করে,যার কারণে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না, হলেও খুব কম হয়। টাইপ ১ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ
জেনেটিক বা বংশগত প্রভাব। এছাড়াও ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হলো-ভাইরাস ইনফেকশন যেমন কোক্সাসকি বা রুবেলা এই ধরনের ভাইরাস ডায়াবেটিস হওয়ার জন্য দায়ী।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ
টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হলো শরীরের কোষগুলোর ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা কমে যাওয়া। এ কারণে ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক থাকলেও শরীর সেটি ব্যবহার করতে পারে না। টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হচ্ছে-অতিরিক্ত ওজন বিশেষত পেটের চারপাশে জমে থাকা চর্বি ইনসুলিন বাড়ায়। শরীরচর্চা বা নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের অভাব রক্তে গ্লূকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং ইনসুলিন বাড়ায়।

ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হলো অতিরিক্ত চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া।বংশগতভাবে পারিবারিক ইতিহাস থাকা টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ। সাধারণত ৪৫ বছরের পর টাইপ ২ ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (PCOS) এবং মেটাবলিক সিন্ড্রোম হরমোনাল প্রভাব।এছাড়াও গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হতে পারে।

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ এর মধ্যে স্বাভাবিকের চাইতে ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া এবং বেশি বেশি পিপাসা লাগা অন্যতম।

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ এর মধ্যে শরীরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভূত হবে, ঘোর ঘোর ভাব আসবে এবং বেশি বেশি ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া।

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমতে থাকবে।অর্থাৎ কোন কারণ ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া।

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ হচ্ছে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে,চোখে কম দেখতে শুরু করা এমনকি দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।


ডায়াবেটিস এর লক্ষণ হচ্ছে প্রদাহজনিত রোগে বারবার আক্রান্ত হওয়া। যেকোনো ধরণের ক্ষত শুকাতে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক দেরী হয়। শরীরে কাটাছেঁড়া হলে দীর্ঘদিনে না সারা।

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ হচ্ছে বিভিন্ন রকম চর্মরোগ। যেমন- খোশ পাঁচড়া, ফোঁড়া, চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

এছাড়া আরও ডায়াবেটিস এর লক্ষণ হচ্ছে সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না হলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হওয়া।মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়। বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা।

ডায়াবেটিস এর প্রতিকার

জীবনযাত্রার পরিবর্তন ডায়াবেটিস এর প্রতিকার এবং প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস শুরু হওয়াকে থামাতে পারে।

ওজন কমানো ডায়াবেটিস এর প্রতিকার স্বরূপ। গবেষণায় দেখা গেছে যে,ব্যায়াম এবং খাদ্য পরিবর্তনের মাধ্যমে যারা তাদের শরীরের ওজনের প্রায় ৭% কমিয়েছে তাদের ডায়াবেটিস এর প্রতিকার করা প্রায় ৬০% হয়ে গেছে।

নিয়মিত ব্যায়াম ওজন কমাতে সাহায্য করে ফলে ডায়াবেটিস এর প্রতিকার করা সম্ভব। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায় এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিস এর প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে ।

ডায়াবেটিস রোগী কতদিন বাঁচে

ডায়াবেটিস রোগী কতদিন বাঁচে, প্রশ্নটি দ্বারা মনে হচ্ছে ডায়াবেটিস মানে জীবনের গল্প শেষ। না বরং ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনকাল নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর, যেমন রোগী কতটা নিয়ন্ত্রণে আছে, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের ধরণ, খাদ্যাভ্যাস, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং শারীরিক ক্রিয়া -কলাপের উপর।

নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, সঠিক চিকিৎসা নেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগী সুস্থ জীবন কাটাতে পারে। যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলো এড়ানো যায়, তাহলে ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনকাল মোটামুটি সুস্থ মানুষের মতো হতে পারে। তবে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে অনেক জটিল রোগ হয়।যেমনঃ হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা, স্নায়বিক সমস্যা হতে পারে যা জীবনকাল কমাতে পারে।

পরামর্শ থাকবে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করে রাখা। কম শর্করা এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা। সর্বশষ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনসুলিন বা ওষুধ সঠিকভাবে গ্রহণ করা।

ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত (রেঞ্জ। সুগার লেভেল)

ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত বা ডায়াবেটিসের রেঞ্জ কত বা সুগার লেভেল কত হলে ডায়াবেটিস হয় তা আমাদের প্রয়োজন।

খাবার খাওয়ার আগে ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত এটি জানা দরকার।যেমনঃ
স্বাভাবিক মাত্রাঃ ৫.৫% বা এর নিচে (mmol/l)
প্রিডায়াবেটিসঃ ৬.১% - ৬.৯% এর মধ্যে (mmol/l)
ডায়াবেটিসঃ ৬.৯% বা এর বেশি (mmol/l)

খাবার খাওয়ার ২ ঘন্টা পরে ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত এটি জানা দরকার।যেমনঃ
স্বাভাবিক মাত্রাঃ ৭.৮% বা এর নিচে (mmol/l)
প্রিডায়াবেটিসঃ ৭.৮% - ১১.১% এর মধ্যে (mmol/l)
ডায়াবেটিসঃ ১১.১% বা এর বেশি (mmol/l)

ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ

ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ হতে পারে তা জেনে নিন,সাধারণত ডায়াবেটিস 40 mg/dl এর নিচে বা 400 mg/dl এর চেয়ে বেশী হলে রোগীর বিপদ হতে পারে।

ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল এটি জানা দরকার।যেমনঃ
স্বাভাবিক মাত্রাঃ ৭.৮% বা এর নিচে (mmol/l)
প্রিডায়াবেটিসঃ ৭.৮% - ১১.১% এর মধ্যে (mmol/l)
ডায়াবেটিসঃ ১১.১% বা এর বেশি (mmol/l)

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় 

আমাদের সবারই জানা দরকার,ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়? ডায়াবেটিস ৪০ mg/dl এর নিচে অথবা ৪০০ mg/dl এর চেয়ে বেশি হলে যেকোন সময় রোগী স্ট্রোক করে মৃত্যু হতে পারে। অনেকসময় দেখা যায়, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের যেকোন অঙ্গ যেমন- কিডনি, হার্ট, স্নায়ু ইত্যাদি বিকল হয়ে যেতে পারে। যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে।

ডায়াবেটিস অতিমাত্রায় কমে গেলে কিংবা অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে হতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু। তাই এটা বলার উপায় নেই যে, ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় বা কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে এটি সবারই জেনে রাখা দরকার।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই ইনসুলিন দেওয়া বা ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

নিয়মিত শরীরের ব্লাড সুগার চেকআপ করা উচিত। মাসে অথবা তিন মাসে একবার অবশ্যই এই ব্যাড সুগার চেকআপ করা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। কারণ ব্যায়াম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী। অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন।


দৈনিক পুষ্টিকর খাবারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে এবং খাবারের একটি রুটিন করে নিতে হবে। অল্প অল্প করে প্রতিবেলায় খাবার খেলে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

অতিরিক্ত তেল বা মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যায়, এমন খাবার না খাওয়া ।

ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি নিয়মিত করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং ডায়বেটিস, কোলস্টোর, প্রেসার ইত্যাদি রোগ শরীরে বাসা বাধে। তাই এটিকে পরিহার করা উচিত।

কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে

কিছু ফল আছে যা নিয়মিত খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হতে পারে, তবে ডায়াবেটিস পুরোপুরি "কমিয়ে" দেয় এমন কোনো ফল নেই।

স্ট্রবেরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার বেশি থাকে, তাই রক্তের শর্করা ধীরে বাড়ায়। তাহলে বোঝা গেলো কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে।

আপেলে ফাইবার বেশি এবং প্রাকৃতিক শর্করা কম থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। তাহলে বোঝা গেলো কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে।

নাশপাতিতে ফাইবার ও ভিটামিন সি বেশি থাকে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর। তাহলে বোঝা গেলো কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে।

আঙুর খেলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ে, তবে খুব বেশি খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে শর্করার মাত্রা তুলনামূলক বেশি।

কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। সাইট্রাস ফলে প্রাকৃতিকভাবে শর্করার মাত্রা কম থাকে। তাহলে বোঝা গেলো কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে।

কিউইতে ফাইবার, ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম আছে এবং এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে।

ঔষধ ছাড়া ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

ডায়াবেটিস কমানোর উপায় বা ঔষধ ছাড়া ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হলো
নিয়মিত শরীরের ব্লাড সুগার চেকআপ করা উচিত। মাসে অথবা তিন মাসে একবার অবশ্যই এই ব্যাড সুগার চেকআপ করা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। কারণ ব্যায়াম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী। অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন।

দৈনিক পুষ্টিকর খাবারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে এবং খাবারের একটি রুটিন করে নিতে হবে। অল্প অল্প করে প্রতিবেলায় খাবার খেলে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

অতিরিক্ত তেল বা মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যায়, এমন খাবার না খাওয়া ।

ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি নিয়মিত করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং ডায়বেটিস, কোলস্টোর, প্রেসার ইত্যাদি রোগ শরীরে বাসা বাধে। তাই এটিকে পরিহার করা উচিত।

পরিশেষ

পরিশেষে আমরা এই কথা বলতে পারি যে, ডায়াবেটিসের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস কমানোর উপায় বা ঔষধ ছাড়া ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হলো নিয়মিত শরীরের ব্লাড সুগার চেকআপ করা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। বিভিন্ন রকমের ফলমূল, শাকসবজি এবং শ্বেতসার-জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url