মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ ও সেরা ২১টি উপায়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ ও সেরা ২১টি উপায় । আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সকল কিছুই এখন স্মার্টফোনের উপর নির্ভর করছে। আমাদের প্রতিদিন অনেকটা সময় কাটছে স্মার্টফোনের সাথে, তাই আমাদের অনেকেই জানতে ইচ্ছুক স্মার্টফোন বা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় কি বা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস আছে কি?
হ্যাঁ এর উত্তর খুঁজে পাবেন,আমরা আজকের ব্লগে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কিভাবে আপনি আপনার স্মার্টফোন বা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করবেন অথবা মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায়।এগুলো নিয়েই হবে আমাদের আলোচনা।
আরম্ভ
বর্তমানে আপনার হাতের মোবাইলটি হতে পারে আয়ের একটি মাধ্যম। আপনার হাতের মোবাইলটি ব্যবহার করে টাকা ইনকামের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় আছে যা আপনি সহজেই ঘরে বসে করতে পারেন। এখানে ২১টি জনপ্রিয় উপায় তুলে ধরা হলোঃ
ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কিছু ফ্রিল্যান্সিং কাজ রয়েছে যা মোবাইল ব্যবহার করে করা যেতে পারে।এই জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ ব্যবহার করা হয়।যেমনঃ Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদি। এই প্ল্যাটফর্মে সাইন আপ করে গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজ করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য কিছু সহজ এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি কাজ বেছে নিতে হবে। হতে পারে ছোট আকারে লেখালেখির কাজ বা ব্লগ লেখার কাজ।যেমনঃকনটেন্ট রাইটিং।
বিভিন্ন অ্যাপ যেমনঃ Canva বা Adobe Spark অ্যাপ দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। Instagram, Facebook, Twitter এ পেজ ম্যানেজ করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ডেটা এন্ট্রি কাজ করেও মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট স্কিলের প্রয়োজন। যেমনঃ টাইপিং, গ্রাফিক ডিজাইন, এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে সহজেই এই স্কিলগুলোর কাজের অফার পেতে পারেন। মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং সঠিকভাবে করলে এটি আপনার জন্য ভালো একটি আয়ের উৎস হতে পারে।
ব্লগ তৈরি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
মোবাইল দিয়ে ব্লগ তৈরি করে আয় করা সম্ভব। ব্লগিং একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি যা আপনাকে প্যাসিভ ইনকামের সুযোগ দেয়। মোবাইল দিয়ে ব্লগ তৈরি করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে, যা অনুসরণ করলে আপনি ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন। যেকোনো কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখে উপার্জন করতে পারেন। ব্লগ তৈরি করে বিজ্ঞাপন বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করা যায়।
ব্লগিং শুরু করার জন্য কিছু মোবাইল-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম আছে।যেমনঃ Blogger এটি গুগলের ফ্রি প্ল্যাটফর্ম, যা মোবাইলে সহজেই ব্যবহার করা যায়। WordPress.com এটি ব্লগ তৈরির জন্য খুবই জনপ্রিয় এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই ব্যবহৃত হয়।
আপনার ব্লগে AdSense বিজ্ঞাপন যোগ করে আয় করতে পারেন। ব্লগের ট্রাফিক বেশি হলে ইনকামও বেশি হবে।Amazon, ClickBank, বা অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে প্রোডাক্ট রিভিউ বা লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। যখন কেউ লিঙ্কের মাধ্যমে প্রোডাক্ট কিনবেন, আপনি কমিশন পাবেন।ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি পেলে স্পন্সরশিপের অফার আসতে পারে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
ইউটিউব অ্যাপে আপনার নতুন গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে একটি চ্যানেল তৈরি করে আপনার চ্যানেলের জন্য একটি আকর্ষণীয় নাম এবং প্রোফাইল ছবি সেট করুন, যা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। ভিডিও সম্পাদনা করার পর এটি আপনার চ্যানেলে আপলোড করুন এবং সঠিক টাইটেল, ডেসক্রিপশন, এবং ট্যাগ ব্যবহার করুন, যাতে দর্শক সহজেই আপনার ভিডিও খুঁজে পায়।
ইউটিউব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আয় করা যায়। অনেক ব্র্যান্ড আপনাকে স্পন্সর করতে চাইবে। ভিডিওর ডিসক্রিপশনে বিভিন্ন পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দিয়ে আয় করা যায়।ইউটিউবের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য ধৈর্য্য ধরে কাজ করুন এবং ভালো মানের ভিডিও নিয়মিত আপলোড করুন। এভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
ড্রপশিপিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
ড্রপশিপিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ড্রপশিপিং হলো এমন একটি ব্যাবসা যেখানে আপনি প্রোডাক্ট স্টক না রেখে কাস্টমারকে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন। এখানে আপনি প্রোডাক্টের অর্ডার পাবেন আর সরাসরি সাপ্লায়ার থেকে সেই প্রোডাক্ট কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিবেন। এতে প্রোডাক্ট কেনা, স্টক মেইনটেইন করা, বা ডেলিভারি নিয়ে চিন্তা করার দরকার হয় না। কোন স্টক ছাড়াই অন্যদের পণ্য বিক্রি করে টাকা উপার্জন করা যায়।
শপিফাই, উইক্স বা বিগকমার্সের মতো প্ল্যাটফর্মে আপনার অনলাইন স্টোর খুলতে হবে। মোবাইল থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন যার জন্য এগুলোর মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকের মাধ্যমে প্রোডাক্ট প্রোমোট করতে পারেন। মোবাইল থেকে অর্ডার প্রসেস করা এবং কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ রাখা। আপনি প্রোডাক্টের অর্ডার পাবেন আর সরাসরি সাপ্লায়ার থেকে সেই প্রোডাক্ট কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিবেন
ই-কমার্সে ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
ই-কমার্সে ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোতে এখন মোবাইল-ফ্রেন্ডলি অ্যাপ এবং টুল রয়েছে। যেমন- শপিফাই, উইক্স, বা বিগকমার্সের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে স্টোর তৈরি করা যায়। এসব অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইল থেকেই প্রোডাক্ট যোগ করা, দাম নির্ধারণ করা, স্টক আপডেট করা।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এবং টিকটক এর মতো প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট প্রোমোট করতে হবে এবং গ্রাহকদের কাছে আপনার পণ্য প্রচার করে,মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় ।
মোবাইল থেকে সরাসরি সাপ্লায়ারের কাছে অর্ডার পাঠাতে পারবেন, এবং সাপ্লায়ারই প্রোডাক্ট ডেলিভারি করবে। আর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ যেমন বিকাশ, নগদ, পেপাল ইত্যাদি ব্যবহার করে সহজেই পেমেন্ট গ্রহণ ও পেমেন্ট পাঠানো যায়। সূতরাং ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করে মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব এবং এর মাধ্যমে ভাল আয় করা সম্ভব।
রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
অ্যামাজন, দারাজ, সেল্ফ মাই বিজনেস প্লাটফর্ম, সহজ এফিলিয়েট, চেকবক্স প্রভৃতি প্ল্যাটফর্ম থেকে রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। অ্যামাজনে রেসলিং করতে গেলে দুই থেকে তিন মাস সময় দেওয়া লাগবে তারপর ইনকাম করতে পারবেন।দারাজে রিসেলিং করতে গেলে আপনাকে একটা ডিলারশিপ ক্রয় করতে হবে। এবং আপনার একটি ওয়েবসাইট মাস্ট বি থাকা লাগবে।
সেল্ফ মাই বিজনেস প্লাটফর্মে রেসলিং করে ভাল ইনকাম করা যায় এখান থেকে রিসেলিং করতে গেলে আপনাকে একটি আর্নিং কোর্স ক্রয় করতে হবে। এই আর্নিং কোর্সের মাধ্যমে আপনাকে মার্কেটিং শিখিয়ে দেবে এবং ডিলারশিপ আইডি দিবে প্লাস আপনি এখান থেকে লিড জেনারেশন করেও বসে থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন টিউশনি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
অনলাইন টিউশনি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়, এটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় আয়ের একটি মাধ্যম। আপনি যদি কোনো বিষয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন এবং শিক্ষার্থীদের শেখানোর আগ্রহ থাকে, তবে মোবাইল ব্যবহার করে টিউশনি শুরু করতে পারেন।
Zoom, Google Meet, WhatsApp, বা Microsoft Teams এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিডিও কলিং করে ক্লাস নেওয়া যায়। এই প্ল্যাটফর্মগুলো মোবাইলে ব্যবহার করা সহজ এবং প্রায় সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এগুলো ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। Udemy, Byju’s, Vedantu, Tutor.com এবং Preply এর মতো অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে নিজের প্রোফাইল তৈরি করে অনলাইন টিউটর হিসেবে কাজ করতে পারেন।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন বা Fiverr এবং Upwork এর মতো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে প্রোফাইল তৈরি করে নিজের টিউশনি সার্ভিসের প্রোমোশন করতে পারেন। এভাবে অনলাইনেই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো যায়। গুগল ড্রাইভ বা ওয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নোটস, প্র্যাকটিস প্রশ্ন এবং অন্যান্য শেখার উপকরণ শেয়ার করতে পারেন।
আপনি যদি এক বা একাধিক বিষয়ে দক্ষ হন এবং মোবাইল ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে চান, তবে অনলাইন টিউশনি করে সহজেই আয় করতে পারবেন।
ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি যদি ফটোগ্রাফি পছন্দ করেন এবং মোবাইলে ভাল মানের ছবি তুলতে পারেন, তাহলে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছবিগুলো বিক্রি করে আয় করতে পারেন।যেমনঃ Shutterstock, Adobe Stock, iStock এবং Alamy এর মতো স্টক ফটোগ্রাফি প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি মোবাইলে তোলা ছবি আপলোড করতে পারেন। এসব প্ল্যাটফর্মে ছবিগুলি বিক্রি হলে আপনি কমিশন পাবেন।
আরও পড়ুনঃ আইফোনের মতো ফোন কোনটি জেনে নিন
Foap, EyeEm, Scoopshot, এবং 500px এর মতো অ্যাপগুলো মোবাইলে তোলা ছবি বিক্রি করার সুযোগ দেয়। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যায়। ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল শক্তিশালী করে এবং ভাল মানের ছবি পোস্ট করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।ছবি বিক্রির জন্য মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তোলার পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের ফটো এডিটিং অ্যাপের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।
ফেসবুক বুস্টিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
ফেসবুক বুস্টিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ফেসবুক বুস্টিং হলো একটি পেইড মার্কেটিং মেথড, যেখানে নির্দিষ্ট পোস্ট বা কনটেন্ট বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রচার করা হয়। এর জন্য প্রয়োজন ফেসবুক পেজ তৈরি করা, পোস্ট করা এবং কনটেন্ট তৈরি করার দক্ষতা অর্জন করা দরকার। অনেক ছোট ব্যবসয়ী ও উদ্যোক্তা তাদের পেজে বুস্টিং করতে চান, আপনি তাদের জন্য বুস্টিং করে আয় করতে পারেন।
ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে আয় করা যায়।ফেসবুকের ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট টুলের মাধ্যমে স্পন্সরশিপ বা ব্র্যান্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কনটেন্ট তৈরি করে আয় করা যায়।
আপনার পেজ মনিটাইজ করে ভিডিওর শুরুতে, মাঝখানে বা শেষে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আয় হবে। আপনি বিশেষ কিছু প্রিমিয়াম ভিডিও সাবস্ক্রাইবারদের জন্য তৈরি করতে পারেন। ব্যবহারকারীরা সাবস্ক্রাইব করলে তারা সেই প্রিমিয়াম কনটেন্ট অ্যাক্সেস করতে পারবে এবংএটি ফ্যানদের কাছ থেকে নিয়মিত আয় করতে পারবেন।
পুরাতন পণ্য বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
পুরাতন পণ্য বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। এর জন্য OXL, Bikroy. com এবং Quiker ওয়েবসাইটর সহায়তা নিতে পারেন। যেখানে আপনি পুরাতন যেকোনো জিনিস বিক্রয় করতে পারবেন।যেমন – মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, টিভি, মোবাইল, কম্পিউটার, গাড়ি ইত্যাদি। আপনার কাছে যদি তেমন পুরাতন জিনিস থাকে, তাহলে সেগুলো আপনি এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রয় করতে পারবেন
পুরাতন জিনিস বিক্রয়ের দোকান থেকে কমদামে জিনিস কিনে এনে এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বেশি দামে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।পণ্যের ছবি তুলে এসব ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন। এরপর ঐ জিনিস সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু লেখে দিবেন। তারপর কাস্টমার আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে যদি পণ্য কিনে,তাহলে এভাবে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রি কাজ করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
ডাটা এন্ট্রি কাজ করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ডাটা এন্ট্রি কাজের সুযোগ থাকে, যা মোবাইল দিয়ে করা যায়। যেমনঃ Fiverr, Upwork, Freelancer ইত্যাদি ওয়েবসাইটে ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায়, এভাবে ডাটা এন্ট্রি কাজ করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
মাইক্রোওয়ার্ক সাইট ব্যবহার করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এই সাইটগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ছোট কাজ পাওয়া যায় এবং মোবাইল দিয়ে করা যায়। যেমন- ছবি তোলা, সার্ভে পূরণ, ওয়েবসাইট ব্রাউজিং, রিভিউ লেখা, অ্যাপ ডাউনলোড করা ইত্যাদি।
Amazon Mechanical Turk মাইক্রোওয়ার্ক সাইটে ডাটা লেবেলিং, ইমেজ ক্যাটাগরাইজেশন, সার্ভে ইত্যাদি করা যায়।Clickworker এই সাইটে ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব রিসার্চ, সার্ভে, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায়। Microworkers এখানে রিভিউ লেখা, সার্ভে, ওয়েবসাইট ভিজিট করা ইত্যাদি কাজ মোবাইল দিয়ে করা যায়।
অনলাইন কোর্স তৈরি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
অনলাইন কোর্স তৈরি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বর্তমানে এমন অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে মোবাইল দিয়ে সহজেই কোর্স তৈরি ও আপলোড করা যায়।মোবাইল থেকে ভিডিও তৈরি করে প্ল্যাটফর্মে আপলোড করে টাকা ইনকাম করা যায়। Teachable এবং Thinkific প্ল্যাটফর্মগুলোতে একটি অনলাইন স্কুল তৈরি করে টাকা ইনকাম করা যায়।
বুক রিভিউ করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
বুক রিভিউ করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে Google AdSense ব্যবহার করে ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বইয়ের লিঙ্ক শেয়ার করে বিক্রয় থেকে কমিশন বা ইনকাম করা যায়। Upwork, Fiverr, এবং Freelancer এর মতো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে বুক রিভিউ লেখার কাজ পাওয়া যায়।
পোডকাস্ট করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
পোডকাস্ট করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। একটি মোবাইল মাইক্রোফোন এবং ভালো রেকর্ডিং অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে পোডকাস্ট করে শুরু করে টাকা ইনকাম করা যায়। স্পন্সরশিপ পেতে পোডকাস্ট প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে অনেক সময় ব্র্যান্ডগুলো নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রোতা পেলে বিজ্ঞাপন দিতে চায়, যারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। যদি শ্রোতারা লিঙ্ক ব্যবহার করে কেনাকাটা করে, তবে কমিশন পেয়ে ইনকাম করা যায়। এছাড়াও কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা প্রদান করে, সেই বিষয়ে অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিক্রি করা যায় এবং ইবুক বা অন্যান্য ডিজিটাল পণ্যও বিক্রি করে ইনকাম করা যায়।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যেমন- Shopify, Etsy, বা WooCommerce-এর মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মোবাইলে ডিজিটাল প্রোডাক্ট যেমন- ই-বুক, ডিজিটাল আর্ট, মিউজিক, টেমপ্লেট ইত্যাদি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যায়।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল প্রোডাক্ট প্রচার করে গ্রাহকদের কাছে সহজে পৌঁছাতে পারা যায় এবং Fiverr এর মতো সাইটে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল প্রোডাক্ট আপলোড করে বিক্রি করে ইনকাম করা যায়।
পেইড টু ক্লিক (PTC) সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
পেইড টু ক্লিক (PTC) সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। Neobux, Swagbucks, বা InboxDollars এর মতো বিশ্বস্ত PTC সাইটগুলি ব্যবহার করে অ্যাড দেখা, জরিপ পূরণ, ভিডিও দেখা ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। বেশিরভাগ PTC সাইটে রেফারেল সিস্টেম থাকে এতে নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত করে টাকা ইনকাম করা যায়। সূতরাং এটি পার্ট-টাইম বা অতিরিক্ত আয়ের উৎস হিসেবে ভালো।
বিভিন্ন গেম খেলে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
গেম খেলে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। গেমপ্লে রেকর্ড করে ইউটিউব বা ফেসবুকে শেয়ার করলে বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সরশিপের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। অনেক গেম অ্যাপ বন্ধুদের রেফার করার মাধ্যমে ইনসেন্টিভ দেয়, এতে কিছু অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করা যায়। মোবাইল গেম যেমন- PUBG Mobile, Free Fire, বা Call of Duty Mobile নিয়মিত টুর্নামেন্ট আয়োজন করে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।
ক্যাশব্যাক ও রিওয়ার্ড অ্যাপ থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
ক্যাশব্যাক ও রিওয়ার্ড অ্যাপ থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।Shopkick অ্যাপটি বিভিন্ন দোকানে গিয়ে বারকোড স্ক্যান করা, কেনাকাটা করা এবং রিসিপ্ট আপলোডের মাধ্যমে পয়েন্ট প্রদান করে, যার মাধ্যমে গিফট কার্ডে রূপান্তর করা যায় এবং টাকা ইনকাম করা যায় ।
Webtalk থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
Webtalk থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ইহাএকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের জন্য টাকা ইনকাম করার সুযোগ করে দেয়। এটি ব্যবহারকারীদের বন্ধু, পরিবার এবং পেশাদার যোগাযোগগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে দেয় এবং কিছু নির্দিষ্ট কার্যক্রমের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। ফটো, ভিডিও বা লেখার মাধ্যমে কনটেন্ট পোস্ট করে যদি অন্যরা লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার করে, তাহলে সেখান থেকেও টাকা ইনকাম করা যায়।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে সহজে আয় করা যায়। এখানে কয়েকটি জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত অ্যাপের তালিকা দেওয়া হলো-
১। Swagbucks
২। Google Opinion Rewards
৩। Foap
৪। Rakuten
৫। Ibotta
৬। Upwork এবং Fiverr
৭। Mistplay
৮। Dosh
৯। Survey Junkie
১০। Toluna
১১। CashKaro
১২। Skillz
মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। এই প্রশ্নের উত্তরে কয়েকটি জনপ্রিয়, কার্যকর এবং পরীক্ষিত পদ্ধতি উল্লেখ করছি।
Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদি অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, বা প্রোগ্রামিংয়ের মতো কাজের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা নিশ্চয় বোঝতে পেরেছেন।
Etsy, Gumroad, Payhip ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল প্রোডাক্ট যেমন ই-বুক, প্রিন্টেবল ডিজাইন, মিউজিক, টেমপ্লেট বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা বোঝতে পেরেছেন।
YouTube, TikTok, বা Instagram-এ ভিডিও তৈরি করে বা লাইভ স্ট্রিমিং করে টাকা আয় করা যায়। ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ, এডসেন্স, এবং ভিউয়ার দানের মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা বোঝতে পারা সহজ।
Swagbucks, Toluna, এবং Google Opinion Rewards-এর মতো প্ল্যাটফর্মে জরিপে অংশ নিয়ে টাকা আয় করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা বোঝতে পেরেছেন।
Rakuten, Ibotta, Shopkick, এবং Dosh-এর মতো ক্যাশব্যাক অ্যাপগুলিতে কেনাকাটার জন্য ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। অনলাইন কেনাকাটায় ভালো ক্যাশব্যাক পাওয়া যায় এবং পরে তা উত্তোলন করা যায়।
Mistplay, Lucktastic এবং Skillz গেমিং প্ল্যাটফর্ম-এ গেম খেলে টাকা আয় করা যায়। এগুলো ক্যাশ বা গিফট কার্ড দেয় যদিও পরিমাণ তুলনামূলক কম। মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা বোঝতে পেরেছেন।
Cambly, Preply, বা Chegg Tutors-এর মতো অ্যাপে ভিডিও কলের মাধ্যমে ভাষা শেখানো বা কোন বিষয় পড়িয়ে আয় করা যায়। মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা বোঝতেই পারছেন।
Amazon, ClickBank, বা ShareASale-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য সাইন আপ করে মোবাইল থেকে অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে প্রোডাক্ট সেল হওয়ার মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা বোঝতেই পারছেন।
Foap, Shutterstock বা Adobe Stock-এর মতো ফটোগ্রাফি প্ল্যাটফর্মে মোবাইলে তোলা ভালো ছবি আপলোড করে বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা বোঝতেই পারছেন।
Shopify বা WooCommerce-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মোবাইল থেকে ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করা যায়, যেখান থেকেও টাকা আয় করা যায়। মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা বোঝতেই পারছেন।
Blogger, Medium বা WordPress এর মতো প্ল্যাটফর্ম মোবাইলেও ব্যবহার করা যায়।মোবাইলে ব্লগিং বা কন্টেন্ট রাইটিং করে এবং গুগল অ্যাডসেন্স বা স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয় করা যায়। মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা বোঝতেই পারছেন।
Binance বা Coinbase ব্যবহার করে স্টক ট্রেডিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ফরেক্সে বিনিয়োগ করে মোবাইল অ্যাপ দিয়ে টাকা আয় করা যায়। মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা বোঝতেই পারছেন।
পরিশেষ
পরিশেষে বলা যায় যে,মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ এবং সেরা ২১টি উপায়সহ আরও উপায় আছে। পদ্ধতিগুলোর যেটি আপনার পছন্দ হয় সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এটিকে ভালো কাজে ব্যবহার করলে হবে আশীর্বাদ।তাই উপরের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে ফোনেটিকে করে তুলুন টাকা ইনকাম করার একটি উৎস।ইনশাআল্লাহ সফল হবেন।
আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url