ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি | লক্ষণ কি | প্রতিকার কি
সূচিপত্রঃ
মাথা ব্যথা অনেক পরিচিত একটি রোগের নাম। এমন মানুষ পাওয়া যাবে না যাদের জীবনে কখনো মাথা ব্যথা হয়নি। মাথা ব্যথা অল্প অথবা তীব্র আকারে হতে পারে। মাথা ব্যথা সরাসরি বুদ্ধি বা চিন্তা শক্তির সাথে সম্পর্কিত। আমাদের ঘন ঘন মাথা ব্যাথা হতে পারে। তাই ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি? কি কি লক্ষণ দেখা যায় এবং এর প্রতিকার কি বিস্তারিত জানবো।
মাথা ব্যথা অনেক পরিচিত একটি রোগের নাম। এমন মানুষ পাওয়া যাবে না যাদের জীবনে কখনো মাথা ব্যথা হয়নি। মাথা ব্যথা অল্প অথবা তীব্র আকারে হতে পারে। মাথা ব্যথা সরাসরি বুদ্ধি বা চিন্তা শক্তির সাথে সম্পর্কিত। আমাদের ঘন ঘন মাথা ব্যাথা হতে পারে। তাই ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি? কি কি লক্ষণ দেখা যায় এবং এর প্রতিকার কি বিস্তারিত জানবো।
মাথাব্যথা অত্যন্ত কষ্টদায়ক একটি রোগ। কারো ক্ষেত্রে এই সমস্যা স্থায়ী হতে পারে। সামান্য মাথাব্যথা কিছুটা বিশ্রাম, তরল খাওয়া বা ওষুধের মাধ্যমে উপশম করা যায়। তবে গুরুতর মাথাব্যথার জন্য এসব ছাড়াও আরও কিছু পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়। মাথাব্যথা মৃদু বা গুরুতর কোনোটাই উপেক্ষা করা উচিত নয়। কারণ এটি শুধু একটি উপসর্গ নয়, জটিল রোগ আমন্ত্রণের দরজা।
আরম্ভ
মাথা ব্যথা এক পাশ, উভয়পাশ অথবা সারা মাথা জুড়ে হতে পারে। ৬৫-৭৮ শতাংশ লোক জীবনের কোনো না কোনো সময়ে মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হয়। প্রতিবছর ৪৫-৫২ শতাংশ মানুষ মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) হিসাব মতে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক লোক বছরে একবার মাথা ব্যথা অনুভব করে থাকে। তাই এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।
সূতরাং আমাদের ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি? কি কি লক্ষণ দেখা যায় এবং এর প্রতিকার কি বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। মনে রাখবেন, শতকরা ৯০ ভাগের বেশি মাথা ব্যথা জটিলতাহীন বা ক্ষতিকর নয়।
মাথা ব্যথা কি
সহজ করে বললে মাথা ব্যাথা হলো একটি রোগ। অন্যভাবে বলা যায়, মাথা ব্যথা হলো মাথা, মাথার ত্বক বা ঘাড়ে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করা। মাথা ব্যথা সাধারণত টেনশন, মাইগ্রেন অথবা এই দুটির সংমিশ্রণেও হতে পারে।
মাথা ব্যথায় যারা ভুগেন তারা বলেন, ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে তারা ভালো অনুভব করেন। মাথা ব্যথা কোন রোগ নয়। এটি অন্য রোগের উপসর্গ মাত্র। মানুষের অনেকগুলো সাধারণ সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি মাথা ব্যথার সমস্যা। শরীরের নানাবিধ সমস্যার কারণে মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে, তবে এটি মারাত্মক ব্যথা না হলেও খুবই অস্বস্তিদায়ক।
ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি | ঘন ঘন মাথা ব্যথা কেন হয়
ঘন ঘন মাথা ব্যথার খুব পরিচিত দুটি কারণ হলো মাইগ্রেন আর টেনশন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই হচ্ছে টেনশ। ১১ শতাংশের জন্য দায়ী মাইগ্রেন। ধূমপান, মদ্যপান, মাদকাসক্তি, অনিয়মিত ও অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন, রোদ বা অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক পরিশ্রম, ক্ষুধার্ত থাকা, মানসিক চাপ ইত্যাদি মাথাব্যথার কারণ।
কাজেই এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সবার আগে এসব অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। সূতরাং ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি তার নূন্যতম একটি ধারণা পেয়েছি।
মাইগ্রেনঃ
নারীরা মাইগ্রেনে বেশি ভোগেন। সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়স থেকে মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখা দেয়। ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হয় । মাইগ্রেনে মাথাব্যথার লক্ষণগুলো হলো।
- মাথার যেকোনো একপাশে ব্যথা হয়। একবার একপাশে ব্যথা হলে পরের বার অন্য পাশেও ব্যথা হতে পারে।
- চার ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যথা স্থায়ী হতে পারে।
- মাথার দুই পাশের রক্তনালি বা রগ টনটন করছে বলে মনে হওয়া।
- ব্যথার তীব্রতায় কোনো কাজই ঠিকভাবে করা যায় না।
- আলো বা শব্দে ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়।
- ব্যথার সঙ্গে বমিভাব বা বমি হতে পারে।
- ব্যথা শুরুর আগে চোখের সামনে আলোর নাচানাচি, আঁকাবাঁকা লাইন ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
- অন্ধকারে শুয়ে থাকলে ব্যথার তীব্রতা কমে।
টেনশনঃ
মাথার মাংসপেশির সংকোচনের কারণে মাথাব্যথা হয়। এ ধরনের ব্যথার উপসর্গগুলো হলো।
- মাথাজুড়ে ব্যথা হয়।
- মাথা চেপে ধরে আছে—এমন অনুভূতি হওয়া।
- মাইগ্রেনের মতো ততটা তীব্র ব্যথা হয় না।
- এ ধরনের মাথাব্যথা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
- দুশ্চিন্তা, পারিবারিক বা পেশাগত কিংবা মানসিক চাপের সঙ্গে এই ব্যথার সম্পর্ক আছে।
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ
- এইচআইভি, ক্যানসার, ভ্রমণগত কারণে মাথাব্যথা, হাঁচি-কাশি বা ব্যায়ামের কারণে মাথাব্যথা, মাথায় আঘাত বা পড়ে যাওয়ার পরে মাথাব্যথা, গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পরে গুরুতর মাথা ব্যথা হতে পারে। দৃষ্টি ব্যাঘাত, দুর্বলতা, অসাড়তা, চেতনা হ্রাসের মতো স্নায়বিক লক্ষণগুলোর সঙ্গেও মাথাব্যথা হওয়া সম্পর্কিত।
- মাথা ব্যথার সঙ্গে যেসব উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষ গুরুত্ব দেবেন তা হলো ডাবল ভিশন বা কোনো বস্তু দুই বার দেখা, বমি হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, জ্বর বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, কথায় জড়তা আসা, ক্লান্তিবোধ হওয়া, ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার পরও ব্যথা না কমা, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আবার মাথাব্যথা শুরু হওয়া ইত্যাদি।
- এসব প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে এর সঠিক কারণ খুঁজে বের করুন। প্রয়োজনে এমআরআই অথবা এমআরই টেস্ট করে নিতে পারেন। কেননা এসব উপসর্গ মাইগ্রেন, ব্রেন টিউমার, এইডস, ক্যানসার বা অন্যান্য অনেক গুরুতর সমস্যার পূর্বাভাস হতে পারে।
- সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাথা ব্যথা বাড়তে থাকা। এর মানে মাথা ব্যথাটা শুরু হওয়ার পর থেকে দিনে দিনে মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে থাকা। যেমন ব্রেন টিউমারে এ রকম দেখা যায়। ব্রেন টিউমার ছাড়াও টিবি মেনিনজাইটিস, সারকোইডোসিস, লিম্ফোমা বা অন্যান্য কর্কট রোগ বা মেটাস্টেসিসের মতো দেখা যায়।
- হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা, ডায়াবেটিস বা রক্তনালির সমস্যা আছে এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে হঠাৎ তীব্র মাথা ব্যথা হলে স্ট্রোক, সাব-অ্যারাকনয়েড হেমারেজ ইত্যাদি নির্দেশ করে।
- তীব্র মাথা ব্যথার সঙ্গে জ্বর, গায়ে ফুসকুড়ি, প্রচণ্ড দুর্বলতা, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া।
- মাথা ব্যথার সঙ্গে আচার-আচরণ, চলাফেরা বা কথাবার্তায় অসংলগ্নতা হতে শুরু করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
- জীবনে প্রথমবারের মতো প্রচণ্ড মাথা ব্যথা যেটা সেকেন্ডের মধ্যেই সর্বোচ্চ তীব্রতায় চলে যায়। এটাকে বলে থান্ডারক্ল্যাপ হেডেক।
- মাথায় আঘাতের পর থেকে মাথা ব্যথা।
- প্রেগন্যান্সি বা প্রেগন্যান্সি-পরবর্তী সময় মাথা ব্যথা হতে পারে।
মাথা ব্যথার সাথে বমি হলে কি হয়? মাথা ব্যাথার সাথে বমি হওয়া কি স্বাভাবিক
মাইগ্রেনের কিছু নির্দিষ্ট ট্রিগার রয়েছে। যেমন রোদ, গরম-ঠান্ডা আবহাওয়া, অতিরিক্ত ভিড়, শব্দ, আলো ইত্যাদি। এসবে যাদের সমস্যা, চিকিৎসকেরা তাদের এগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। রোদে গেলে চোখে কালো চশমা, ছাতা ব্যবহার করতে বলা হয়। শব্দ বা অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলতে বলা হয়। অন্যদিকে যাদের টেনশনে মাথাব্যথা বেশি হয়, তাদের উচিত দুশ্চিন্তা কম করা, ঠিকমতো ঘুমানো, পরিমিত আহার, হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করা।
এম এস জহিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মাথাব্যথা অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের জন্যও হয়ে থাকে। টেনশনজনিত ও মাইগ্রেনের মাথাব্যথা হলে পানি বা পানিজাতীয় খাবার খেলে ব্যথা অনেকাংশে কমে আসে। আর কোনো অতিরিক্ত চাপ ছাড়া নিয়ম মেনে কাজকর্ম করি, তাহলে মাথাব্যথা এড়ানো সম্ভব হবে।’ এখন প্রশ্ন হচ্ছে মাথা ব্যথার সাথে বমি হলে কি হয়? মাথা ব্যাথার সাথে বমি হওয়া কি স্বাভাবিক? উত্তর হচ্ছে বমি হতে পারে এবং বমি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
মাথা ব্যাথার জন্য কি ঔষধ খেতে হবে? মাথা ব্যথার ঔষধ এর নাম কি?
মাথা ব্যথা হওয়ার জন্য অনেক কারণ আছে। কারণ অনুযায়ী মাথা ব্যথা সারানোর উপায়ও ভিন্ন এবং ভিন্ন ঔষধ খেতে হয়।মাথা ব্যথার রোগীদের জিজ্ঞাসা করলে জানা যায়, ওষুধ খেলে তাদের মাথা ব্যাথা ভালো হয়ে যায়। তাই মাথা ব্যাথার ওষুধের নাম জানা জরুরী। নিচে মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম উল্লেখ করা হলো।
১ Anilic ( এনিলিক) 200 mg Drug International Ltd.
২ Arain (আরিন) 200 mg Opsonin Pharma Ltd.
৩ Lograin (লজরিন) Tablet 200 mg Opsonin Pharma Ltd.
৪ Migratol (মিগ্রাটল) Tablet 200 mg Beacon Pharmaceuticals Ltd.
৫ Migrex (মিগরেক্স) Tablet 200 mg Incepta Pharmaceuticals Ltd.
৬ Minopa (মিনোপা) Tablet 200 mg Medicon Pharmaceuticals Ltd.
৭ Tufnil (টাফনিল) Tablet 200 mg Eskayef Bangladesh Ltd.
৮ Tolmic (টলমিক) 200 mg Beximco Pharmaceuticals Ltd.
৯ Tolfi (টলিফ) Tablet 200 mg Benham Pharmaceuticals Ltd.
১০ Namitol (নামিটোল) Tablet 200 mg ACI Limited.
ঘন ঘন মাথা ব্যাথা ও মাথা ঘোরা কেন হয়
- অ্যালকোহল ব্যবহার
- উদ্বেগ এবং চাপ
- কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া
- লো ব্লাড সুগার
- ওষুধ
- দৃষ্টি সমস্যা
মাথার পেছনে ব্যথার কারণ কি
মাথার পেছনে ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে। এখানে কয়েকটি সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হল:
দীর্ঘ সময় ধরে বসে বা কাজ করলে বা শরীরের অবস্থান ঠিক না থাকলে টেনশন হতে পারে।
- মাইগ্রেনের কারণে মাথার পেছনে ব্যথা হতে পারে।
- ঘাড়ের হাড় বা ডিস্কের পরিবর্তনের কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
- মাথার পেছনের নার্ভে সমস্যা হলে এই ধরনের ব্যথা হতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপের কারণে মাথার পেছনে ব্যথা হতে পারে।
- মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের কারণে মাথার ব্যথা হতে পারে।
মাথার মাঝখানে ব্যথার কারণ কি
মাথার মাঝখানে ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে। এখানে কয়েকটি সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলো।
- এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের মাথাব্যথা। সাধারণত স্ট্রেস, উদ্বেগ, বা টেনশনের কারণে হয়। এই ধরনের ব্যথা মাথার মাঝখানে অনুভূত হতে পারে।
- মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত মাথার একপাশে হলেও মাঝখানে হতে পারে। এটি তীব্র এবং স্পন্দিত ব্যথা হতে পারে এবং অন্যান্য উপসর্গ যেমন বমি বমি ভাব, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা থাকতে পারে।
- এটি খুব তীব্র ব্যথা, যা সাধারণত মাথার একপাশে হয়, তবে মাঝখানে অনুভূত হতে পারে। এটি চোখের চারপাশে বা পিছনে হতে পারে।
- সাইনাসে সংক্রমণ বা প্রদাহ হলে মাথার মাঝখানে ব্যথা হতে পারে। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত সাইনাস এলাকার চারপাশে অনুভূত হয়।
- চোখের দৃষ্টিশক্তির সমস্যার কারণে মাথার মাঝখানে ব্যথা হতে পারে, যেমন চশমার প্রয়োজন হলে বা চোখের অতিরিক্ত চাপ পড়লে।
- শরীরে পানি শূন্যতার কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপের কারণে মাথার মাঝখানে ব্যথা হতে পারে।
মাথা ব্যাথা ও বমি ভাব দূর করার উপায় | মাথা ব্যথার প্রতিকার কি
প্রাকৃতিক উপায়ে প্রতিকার ঃ
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া ও ঘুমানো মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
- প্রচুর পানি পান করা উচিত। ডিহাইড্রেশন মাথা ব্যথার একটি সাধারণ কারণ।
- মাথার উপর ঠান্ডা বা গরম প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- মাথা ব্যথা হলে অন্ধকার ও নিরব স্থানে বিশ্রাম নিন।
- মাথা ও ঘাড় ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং ব্যথা কমে যায়।
খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রাঃ
- সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
- ক্যাফেইন সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করা যেতে পারে, তবে অতিরিক্ত না করা ভালো।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে পারে এবং মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন।
ঔষধঃ
- প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন নেওয়া যেতে পারে। তবে, অবশ্যই ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের পরামর্শে ঔষধ গ্রহণ করা উচিত।
- যদি মাথা ব্যথা নিয়মিত বা তীব্র হয়, ডাক্তার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ দিতে পারেন।
বমি ভাব দূর করার উপায় কি
- আদার চা বা আদার টুকরো চিবিয়ে খেলে বমি ভাব কমতে পারে।
- লেবুর রস পান করলে বমি ভাব কমতে পারে।
- পুদিনা পাতার চা বা পুদিনা তেল বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।
- হালকা এবং সহজ পাচ্য খাবার খাওয়া উচিত। যেমন স্যুপ, টোস্ট ইত্যাদি।
ডাক্তারের পরামর্শঃ
যদি আপনার মাথা ব্যথা ও বমি ভাব দীর্ঘস্থায়ী হয় বা খুব তীব্র হয়, তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তারা আপনার লক্ষণগুলোর পেছনে থাকা প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন।
পরিশেষ
ঘন ঘন মাথা ব্যথা উপেক্ষা করা উচিত নয়। ঘন ঘন মাথা ব্যথা জীবনের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথা মানসিক চাপ ও হতাশা বাড়াতে পারে। এর মাধ্যমে অন্য স্বাস্থ্য সমস্যা বা রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে, যেমন ব্রেইন টিউমার বা মেনিনজাইটিস। মাথা ব্যথা কমানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদে ওষুধ সেবন করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
মাথা ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাক্তার দেখানো এবং সঠিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা উচিত। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ, পর্যাপ্ত পানি পান, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া মাথা ব্যথা প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। সূতরাং এখন আমরা বলতে পারি, ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি তার যথেষ্ট ধারণা পেয়েছি।
আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url