আইফোনের মতো ফোন কোনটি জেনে নিন
আইফোনের মতো ফোন কোনটি?এই প্রশ্ন গুগলকে অনেকে করেছেন। হ্যাঁ গুগল পিক্সেল,স্যামসং, শাওমি, রেডমি আরও অন্যান্য ফোনের সামনের দিকের ডিজাইনে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। যা অনেকটাই আইফোন প্রো মডেলগুলির মতো।এছাড়াও জানবো আইফোনের কাছাকাছি অ্যান্ড্রয়েড ফোন কোনটি।
স্যামসং, শাওমি, রেডমি আরও অন্যান্য ফোনের ভ্যারিয়েন্টে বাজারে আসছে।এর আগে এসব ফোনের বিভিন্ন লুক প্রকাশ করা হয়।চারকোনা প্রান্তের কারণে অনেকটা আইফোনের মতো দেখায়।এখন প্রশ্ন হচ্ছেআইফোনের মতো ফোন কোনটি? বিস্তারিত জানাবো।
আরম্ভ
গুগল পিক্সেল,স্যামসং, শাওমি, রেডমি আরও অন্যান্য ফোনের ডিজ়াইনে সামান্য পরিবর্তন করে আইফোনের অনুসরণ করা হয়েছে। আর এই ফোনগুলো ছকভাঙা ডিজ়াইন দিয়েছে, যা অনেকটা আইফোন মডেলগুলির মতো। এই ফোনগুলো একেবারে স্লিক এবং মডার্ন ডিজ়াইনের, লেটেস্ট iPhone 15 Pro Maxমডেলগুলির ডিজ়াইনের সাথে অনেকাংশেই মিল রয়েছে।
ফোনগুলো চারকোনা প্রান্ত ডিজাইন ব্যবহার করা হরেছে। সূতরাং আইফোনের মতো ফোন কোনটি? অ্যান্ড্রয়েড ফোন নাকি আইফোন কোনটি সেরা? এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়াস পাবো।
আইফোনের মতো ফোন কোনটি?
আইফোনের মতো ফোন কোনটি? তা জানাবো ডিসপ্লে, পারফরম্যান্স, ক্যামেরা, সকল দিক বিবেচনায় নিম্নোক্ত ফোন গুলো বাজারে অন্যান্য ফোনগুলোর চেয়ে এগিয়ে। উল্লেখ্য যে এখানে আমরা কোনো ফোনের দাম উল্লেখ করিনি। ভ্যারিয়ান্ট এর উপর ভিত্তি করে ফোনগুলোর দাম একেক রকম হয়ে থাকে। ফোনগুলোর মধ্যে অধিকাংশের দাম ৭৯৯ ডলারের বেশি।
- আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স (iPhone 15 Pro Max)
বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন ২০২৪ এর হলো অ্যাপল এর আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স। গতবছরের আইফোনের চেয়ে সকল ক্ষেত্রে উন্নতি এসেছে ২০২৪ সালের অ্যাপল ফ্ল্যাগশিপে। পূর্বের চেয়ে বেশ শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি আনবিটেবল ক্যামেরা পারফরম্যান্স প্রদান করার মাধ্যমে এই তালিকার শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স।
আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লে: ৬.৭ ইঞ্চি
- প্রসেসর: অ্যাপল এ১৭ প্রো
- র্যাম (সর্বোচ্চ): ৮ জিবি
- স্টোরেজ (সর্বোচ্চ):১ টেরাবাইট
- প্রাইমারি ক্যামেরা: ৪৮ মেগাপিক্সেল ট্রিপল
- সেলফি ক্যামেরা: ১২ মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারি: ৪৪৪১ মিলিএম্প
- শাওমি ১৩ প্রো (Xiaomi 13 Pro)
সেরা ক্যামেরা ফোনের পাশাপাশি বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন তালিকার শীর্ষস্থানের দাবিদার হলো শাওমি ১৩ প্রো। এই তালিকার অন্যান্য ফোনের চেয়ে দামে কম হলেও কোনো ফিচারের কমতি নেই এই ফোনটিতে। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট থেকে শুরু করে অসাধারণ ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরার এই ফোনটিতে উপস্থিত রয়েছে সকল ফ্ল্যাগশিপ ফিচার। তাহলে নিশ্চয় বোঝতে পেরেছেন শাওমি ফোন কোনটি আইফোনের মতো দেখতে?
শাওমি ১৩ প্রো এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লে: ৬.৭৩ ইঞ্চি
- প্রসেসর: স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২
- র্যাম (সর্বোচ্চ): ১২ জিবি
- স্টোরেজ (সর্বোচ্চ): ৫১২ জিবি
- প্রাইমারি ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল
- সেলফি ক্যামেরা: ৩২ মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারি: ৪৮২০ মিলিএম্প
- চার্জিং: ১২০ ওয়াট ওয়্যারড, ৫০ ওয়াট ওয়্যারলেস
- ওয়ানপ্লাস ১১ (OnePlus 11)
ওয়ানপ্লাস ১১ নিজেদের ফ্ল্যাগশিপ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো বাজারে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। ট্রিপল ক্যামেরা সেটাপের উক্ত ফোনে শক্তিশালী চিপ, ফিউচারিস্টিক ডিজাইন, ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং১০০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং হলো অসাধারণ ফিচারসমূহের মধ্যে কয়েকটি।
ওয়ানপ্লাস ১১ এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লে: ৬.৭ ইঞ্চি
- প্রসেসর: স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২
- র্যাম (সর্বোচ্চ): ১৬ জিবি
- স্টোরেজ (সর্বোচ্চ): ৫১২ জিবি
- প্রাইমারি ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল
- সেলফি ক্যামেরা: ১৬ মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারি: ৫০০০ মিলিএম্প
- চার্জিং: ১০০ ওয়াট
- স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ৫ (Samsung Galaxy Z Flip5)
ফ্লিপ ফোন হওয়ায় বেশ অসাধারণ সব সুবিধা অফার করছে স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ৫ যা একে বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন এর তালিকায় স্থান করে দিয়েছে। বর্তমানে ফ্লিপ ফোন একটি কনজ্যুমার প্রোডাক্টে রুপান্তরিত হয়েছে। দাম কমার পাশাপাশি ফিচারে ভরপুর অসাধারণ দেখতে এই স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ৫।
স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ৫ এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লে: ৬.৭ ইঞ্চি
- প্রসেসর: স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২
- র্যাম (সর্বোচ্চ): ৮ জিবি
- স্টোরেজ (সর্বোচ্চ): ৫১২ জিবি
- প্রাইমারি ক্যামেরা: ১২ মেগাপিক্সেল ডুয়াল
- সেলফি ক্যামেরা: ১০ মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারি: ৩৭০০ মিলিএম্প
- চার্জিং: ২৫ ওয়াট
- স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফোল্ড৫ (Samsung Galaxy Z Fold5)
স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ৫এর পাশাপাশি জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার উভয়ই বেড়েছে স্যামসাং এর আরেক ফোল্ডেবল ফোন, স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফোল্ড৫ এর। বেশ অসাধারণ ক্যামেরা ফিচারের পাশাপাশি সাধারণ ফোনের মতই ফাংশনালিটি অফার করছে স্যামসাং এর এই ৫ম জেনারেশনের ফোল্ডেবল ডিভাইসটি।
স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফোল্ড৫ এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লে: ৭.৬ ইঞ্চি
- প্রসেসর: স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২
- র্যাম (সর্বোচ্চ): ১২ জিবি
- স্টোরেজ (সর্বোচ্চ): ১ টেরাবাইট
- প্রাইমারি ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল
- সেলফি ক্যামেরা: ৩ মেগাপিক্সেল ডুয়াল
- ব্যাটারি: ৪৪০০ মিলিএম্প
- চার্জিং: ২৫ ওয়াট
- অপো ফাইন্ড এক্স৬ প্রো (Oppo Find X6 Pro)
ফাইন্ড এক্স সিরিজের মাধ্যমে প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড হিসেবে সঠিকভাবে নিজেদের উপস্থাপনে সক্ষম হয়েছে অপো। ফ্ল্যাগশিপ গ্রেড ক্যামেরার পাশাপাশি একটি ফোনকে সেরা হিসেবে চিহ্নিত করতে যে সকল ফিচারের প্রয়োজন তার কোনটির অভাব নেই অপো ফাইন্ড এক্স৬ প্রো ফোনটিতে।
অপো ফাইন্ড এক্স৬ প্রো এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লে: ৬.৮২ ইঞ্চি
- প্রসেসর: স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২
- র্যাম (সর্বোচ্চ): ১৬ জিবি
- স্টোরেজ (সর্বোচ্চ): ৫১২ জিবি
- প্রাইমারি ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল
- সেলফি ক্যামেরা: ৩২ মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারি: ৫০০০ মিলিএম্প
- চার্জিং: ১০০ ওয়াট ওয়্যারড, ৫০ ওয়াট ওয়্যারলেস
- সনি এক্সপেরিয়া ১ মার্ক ৫ (Sony Xperia 1mark 5)
সনি তাদের এক্সপেরিয়া ১ সিরিজে রীতিমত প্রফেশনাল গ্রেড ক্যামেরা ফিচার অফার করছে। অসাধারণ ক্যামেরা ফিচারের পাশাপাশি সনি এক্সপেরিয়া ১ মার্ক ৫ ডিভাইসটিতে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, শক্তিশালী প্রসেসর, অসাধারন ডিসপ্লে এবং অডিও সেটাপ রয়েছে।
সনি এক্সপেরিয়া ১ মার্ক ৫ এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লে: ৬.৫ ইঞ্চি
- প্রসেসর: স্নাপড্রাগন ৮ জেন ২
- র্যাম (সর্বোচ্চ): ১২ জিবি
- স্টোরেজ (সর্বোচ্চ): ৫১২ জিবি
- প্রাইমারি ক্যামেরা: ৪৮ মেগাপিক্সেল ট্রিপল
- সেলফি ক্যামেরা: ১২ মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারি: ৫০০০ মিলিএম্প
- চার্জিং: ৩০ ওয়াট
- আইফোন ১৫ প্লাস (iPhone 15 Plus)
লেটেস্ট আইফোন সিরিজ থেকে আইফোন ১৫ প্লাস সেরা স্মার্টফোন এর তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে এর অসাধারণ ক্যামেরা পারফরম্যান্স ও ব্যাটারি ব্যাকাপ এর মাধ্যমে। গতবছরের আইফোনের চিপসেট দ্বারা চললেও পারফরম্যান্স এর বিচারে তালিকার অধিকাংশ ফোনের চেয়ে এগিয়ে থাকবে আইফোন ১৫ প্লাস।
আইফোন ১৫ প্লাস এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লে: ৬.৭ ইঞ্চি
- প্রসেসর: অ্যাপল এ১৬ বায়োনিক
- র্যাম (সর্বোচ্চ): ৬ জিবি
- স্টোরেজ (সর্বোচ্চ): ৫১২ জিবি
- প্রাইমারি ক্যামেরা: ৪৮ মেগাপিক্সেল ডুয়াল
- সেলফি ক্যামেরা: ১২ মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারি: ৪৩৮৩ মিলিএম্প
- গুগল পিক্সেল ৭ প্রো (Pixel 7 Pro)
প্রতি বছর পিক্সেল তাদের ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ দিয়ে বাজার মাতিয়ে রাখে। ফটোগ্রাফি লাভারদের পাশাপাশি বর্তমানে অ্যাপল বা স্যামসাং এর পাশাপাশি স্মার্টফোন জগতে নিজেদের স্থান সুদৃঢ় করে নিয়েছে গুগল।
গুগল পিক্সেল ৭ প্রো এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লে: ৬.৭ইঞ্চি
- প্রসেসর: গুগল টেন্সর জি২
- প্রাইমারি ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরা
- সেলফি ক্যামেরা: ১০.৮মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারি: ৫০০০মিলিএম্প
- চার্জিং: ৩০ওয়াট
- স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ আলট্রা (Samsung Galaxy S23 Ultra)
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ আলট্রাস্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ আলট্রা বছরের প্রথমদিকে মুক্তি পেলেও এখনো এটি বাজারের সকল এন্ড্রয়েড ফোনের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ আলট্রা এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লে: ৬.৮ ইঞ্চি
- প্রসেসর: স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২
- র্যাম (সর্বোচ্চ): ১২ জিবি
- স্টোরেজ (সর্বোচ্চ): ১ টেরাবাইট
- প্রাইমারি ক্যামেরা: ২০০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল
- সেলফি ক্যামেরা: ১২ মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারি: ৫০০০ মিলিএম্প
- চার্জিং: ৪৫ ওয়াট
- রেডমি ১২(Redmi 12 )
সেরা ক্যামেরা ফোনের পাশাপাশি বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন তালিকার শীর্ষস্থানের দাবিদার হলো রেডমি ১২। এই তালিকার অন্যান্য ফোনের চেয়ে দামে কম হলেও কোনো ফিচারের কমতি নেই এই ফোনটিতে। ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট থেকে শুরু করে অসাধারণ ৫০ মেগাপিক্সেল ট্রিপল ক্যামেরার এই ফোনটিতে উপস্থিত রয়েছে সকল ফ্ল্যাগশিপ ফিচার। তাহলে নিশ্চয় বোঝতে পেরেছেন শাওমি ফোন কোনটি আইফোনের মতো দেখতে?
রেডমি ১২এর স্পেসিফিকেশন
- ডিসপ্লে: ৬.৭৯ ইঞ্চি
- প্রসেসর: স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২
- র্যাম (সর্বোচ্চ): ৮ জিবি
- স্টোরেজ (সর্বোচ্চ): ১ টিবি
- প্রাইমারি ক্যামেরা: ৫০ এম পি
- সেলফি ক্যামেরা: 2MP ম্যাক্রো সেন্সর
- ব্যাটারি: ৫০০০ মিলিএম্প
- চার্জিং:১৮ ওয়াট ওয়্যারড
অ্যান্ড্রয়েড ফোন নাকি আইফোন কোনটি সেরা?
আসুন,জেনে নিই অ্যান্ড্রয়েড ফোন নাকি আইফোন কোনটি সেরা? যে কারণে আইফোনের চেয়ে অ্যান্ড্রয়েডকে ব্যবহারকারীরা বেশি প্রাধান্য দেন।
- ডেটা স্টোরেজ সুবিধা
অ্যাপলের সব পণ্যই বিল্ট-ইন স্টোরেজ, যেমনটি আইফোনও। এ ব্র্যান্ডের একটি প্রচলিত ফোন (আইফোন ৫ ও ৫এস) কিনতে গেলে আপনাকে ১৬ গিগাবাইট থেকে সর্বোচ্চ ৬৪ গিগাবাইটের মধ্যে বেছে নিতে হবে।
অ্যান্ড্রয়েডের বেশির ভাগ স্মার্টফোনেই বাড়তি ডেটা স্টোরেজ সুবিধা রয়েছে। জনপ্রিয় প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই বাড়তি মেমোরি কার্ড স্লট রয়েছে; যেমন স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭-এ, যেখানে আপনি ২৫৬ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়তি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
এখানে দামেরও রয়েছে একটা বিশাল পার্থক্য। ৪ গিগাবাইট বিল্ট-ইন স্টোরেজের অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে ৬৪ গিগাবাইট মেমোরি কার্ড কিনতে যত খরচ হবে, আইফোন ৩২ গিগাবাইট ইউনিটের দাম কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি।
- অপারেটিং সিস্টেম
আইওএসের তুলনায় অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম সহজ। আইফোনের তুলনায় অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নোটিফিকেশন দেখাও অনেক সহজ। এগুলো ব্যবস্থাপনা এবং অ্যান্ড্রয়েড লক স্ক্রিন থেকে একেবারেই ঝামেলাহীন। এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েডে সহজে নোটিফিকেশন পরিষ্কারের ব্যবস্থা রয়েছে।আছে নিজের ইচ্ছেমতো অ্যাপগুলো কাস্টমাইজ করার সুবিধাও।
উন্মুক্ত অ্যাপ সেন্টার হওয়ায় গুগলের নীতিমালার সঙ্গে মিলে গেলে সেসব অ্যাপ আপনি মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাবেন গুগল প্লে স্টোরে। কিন্তু অ্যাপলের ক্ষেত্রে এই একই ব্যাপার বেশ ঝামেলাপূর্ণ এবং কালক্ষেপণ করে।
অ্যাপল সাধারণত যেকোনো অ্যাপ নিজেরা রিভিউ করে অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে ছেড়ে থাকে। তবে গুগল প্লে স্টোরের অ্যাপস থেকে অনেক সময় ক্ষতিকর ভাইরাসের শিকার হতে পারে অ্যান্ড্রয়েড ফোন। এ ক্ষেত্রে ফোনে অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপস রাখার পাশাপাশি অন্য ব্যবহারকারীদের রিভিউ পড়ে নিলে বিপদ-মুক্ত থাকা যায়।
- ম্যাপিং সুবিধা
আইফোন ৫-এর সঙ্গে অ্যাপল তাদের নিজস্ব ম্যাপিং সুবিধা জুড়ে দিয়েছে। এটা অনেকের কাছেই হাসি-তামাশার খোরাক! অ্যাপলের এ ম্যাপ এতটাই অবাস্তব যে দেখা গেছে, খোলা মাঠের জায়গায় নদী আর হাসপাতালের জায়গায় রেলস্টেশন! এ জন্য আইফোন ব্যবহারকারীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমাও চেয়েছে অ্যাপল। সেই ক্ষমাপ্রার্থনায় তারা নিজেরাই গুগল কিংবা নকিয়া ম্যাপস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।
অন্যদিকে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন-ইন করলেই বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তব ম্যাপ চলে আসবে আপনার হাতের মুঠোয়। তবে আইফোনেও এই ম্যাপস জুড়ে নেওয়া যায়, কিন্তু সেটা বাই-ডিফল্ট থাকে না। এদিক বিচারে আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডই এগিয়ে। গুগল ম্যাপের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাপ-সংক্রান্ত বাকি সেবাগুলোও পাওয়া যায়।
- ওয়েব ব্রাউজিং ও মেইলে ডিফল্ট অ্যাপ
ডিফল্ট অ্যাপ্লিকেশন আইফোনের অন্যতম সীমাবদ্ধতা। স্বাভাবিক অবস্থায় ক্রোম কিংবা অন্য কোনো ব্রাউজারকে ডিফল্ট হিসেবে নির্ধারণ করা যায় না আইফোনে। মেইলের ক্ষেত্রে জিমেইলের বদলে আইফোন তার ব্যবহারকারীদের সব সময় উৎসাহিত করে তাদের ডিফল্ট মেইল অ্যাপ ব্যবহার করতে।
সারা বিশ্বে ব্যবহারকারীদের কাছে ব্রাউজার হিসেবে ক্রোম, মোজিলা জনপ্রিয় এবং পরিচিত। একইভাবে যেমন জিমেইল। ফোন ব্যবহারকারীরাও চান এই সেবাগুলো ব্যবহার করতে। কোথায় কোন অপশন আছে, কীভাবে অ্যাপটি ব্যবহার করতে হয়, তা জানা থাকে বলে। কিন্তু আইফোন এ ক্ষেত্রে নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ দেখে।
পাশাপাশি আইফোনে সরাসরি ওয়েব থেকে কোনো কিছু ডাউনলোড করা প্রায় অসম্ভব। ফাইল শেয়ারিংও অনেক ঝামেলাপূর্ণ। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশির ভাগ মানুষ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করেন। ফলে পরিচিতদের সঙ্গে কোনো ফাইল আদান-প্রদানে ঝামেলায় পড়তে হয় আইফোন ব্যবহারকারীদের।
- সুবিধা-অসুবিধা
আইওএস অপারেটিং সিস্টেম-চালিত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৬২ শতাংশ সফটওয়্যার-জনিত সমস্যার শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মধ্যে একই সমস্যায় ভুক্তভোগীর হার ৪৭ শতাংশ। কারও কারও মতে, আনলক করা আইফোনের চার্জও ক্ষয় হয় বেশ দ্রুত।
আইফোনের ব্যাটারি পাল্টানো যায় না। এর অরিজিনাল এক্সেসরিজ পাওয়াও ভীষণ ব্যয়বহুল ও ঝামেলাপূর্ণ। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এ ধরনের কোনো সমস্যা নেই।
আইফোনের আরেকটি বড় অসুবিধা হলো ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে ডেটা নেওয়ার ক্ষেত্রে। বেশির ভাগ পিসিতে চলে উইন্ডোজ।
অ্যান্ড্রয়েড সহজে উইন্ডোজে সংযোগ তৈরি করে। কিন্তু আইফোন তা করতে দেয় না। এর জন্য উইন্ডোজে আইফোনের সফটওয়্যার নামিয়ে নিতে হয়। সেই সফটওয়্যার ইনস্টল ও সংস্করণ হালনাগাদে ব্যবহারকারীদের ভুগতে হয়।
পরিশেষ
আপনি এন্ড্রয়েড ফোনগুলোকে অনেক বেশি কাস্টমাইজ করতে পারবেন যা আইফোনে সম্ভব নয়। আইফোনের মতো ফোন কোনটি? অ্যান্ড্রয়েড ফোন নাকি আইফোন কোনটি সেরা? আপনার কাছে কোনটি অধিকতর সুবিধাজনক বলে মনে হয়? আমাদের আলোচনা থেকে তা পরিষ্কার হয়েছে।
আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url