নিয়মিত লেবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
নিয়মিত লেবু খাওয়ার উপকারিতা অথবা প্রতিদিন লেবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে প্রায় অনেকে জানে। সুস্বাদু, রসালো এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুকে একটি উত্তম খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেহেতু লেবু সাইট্রাস জাতীয় ফল।সাইট্রাস ফলের মধ্যে ভিটামিন সি বেশি থাকে, এটি একটি প্রাথমিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা কোষকে ক্ষতিকারক ফ্রি-র্যাডিকল থেকে রক্ষা করে।
ভিটামিন সি-এর অতি পরিচিত উৎস হচ্ছে লেবু।নিয়মিত লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর কথা কার অজানা। তবে লেবুর পুরোটাই গুণসমৃদ্ধ হলেও মাত্রাতিরিক্ত লেবু খাওয়া উচিত নয়।যদিও এর টক স্বাদের কারণে খালি খাওয়া যায় না। তবে প্রায় সবারই কোনোকিছুর সাথে যোগ করে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন প্রতিদিন লেবু খাওয়া উচিত।
আরম্ভ
তীব্র গরমে এক গ্লাস লেবুর শরবত হলে প্রাণটা জুরিয়ে যায়। শুধু শরবত হিসেবেই নয়,ওজন কমাতেও অনেকেই সকালে লেবুর শরবত পান করেন। কিন্তু জানেন কি লেবুর শরবত শুধু ওজন কমানো নয়,বরং আপনি আরও অনেক উপকার পাচ্ছেন।
লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে পেট পরিষ্কার রাখার মতো প্রচুর উপকার করে।এছাড়াও লেবুর রসের দারুণ কিছু উপকার রয়েছে।লেবু খেলে তা আপনার বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। লেবু খেলে তা মুখের রুচি ফিরিয়ে দিতে কাজ করে। আপনি কি নিয়মিত লেবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন? না জানলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
নিয়মিত লেবু খাওয়ার উপকারিতা - প্রতিদিন লেবু খাওয়ার উপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
লেবু মূলত ভিটামিন বি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও এনজাইমসমৃদ্ধ খাবার।লেবুপানি আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। লেবুর রসে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি এই ক্ষমতা তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সে থাকা থিয়ামিন ও রিবোফ্লাবিন শরীরে এনার্জি তৈরি করে।লেবুর রস শরীরে কোষের বৃদ্ধি ও কোষকে কার্যক্ষম করে তুলতে সাহায্য করে। সূতরাংনিয়মিত লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর কথা মনে রাখবেন।
আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টক স্বাদের ফল লেবু দারুণ কাজ করে। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে কাজ করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানির সাথে সামান্য লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় সর্দি ও কাশি দূর করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুনঃ পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ২৫টি
- কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
প্রতিদিন লেবু খাওয়ার অভ্যাস আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।ভিটামিন সি এলডিএল বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া লেবুতে ফ্ল্যাভোনয়েডও রয়েছে, যা ট্রাইগ্লিসারাইড এবং এলডিএল-এর মাত্রা কমাতে প্রস্তুত। প্রতিদিন লেবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে প্রায় অনেকে সচেতন, সুতরাং আপনিও সচেতন হোন।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
সাইট্রাস ফলের মধ্যে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যা নিয়মিত অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হজমে সহায়তা করে। লেবুতে থাকা প্রধান ফাইবার পেকটিন, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সহায়তা করে এবং চিনি ও স্টার্চের হজমের হারকে ত্বরান্বিত করে।
সকাল সকাল লেবুপানি শরীরে হজম প্রক্রিয়া ঠিক করতে পারে । এক গ্লাস লেবুপানিতে বদহজম কিংবা অম্বলের মতো সমস্যাও দূর হবে। একই সাথে লেবুপানি পানের অভ্যাস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরিতে বাধা দেয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন নিয়মিত লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর গুরুত্ব কতটুকু।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
এক গ্লাস পানিতে মধুর ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে তা শরীরের জন্য বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে। লেবুতে থাকা ফাইবার খাওয়ার পরে প্রসারিত হয়, যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তৃপ্ত রাখে। এটি আপনাকে অপ্রয়োজনীয় খাবার থেকে বিরত রাখবে, ফলে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকবে না।
- কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করে
কিডনিতে পাথরের সমস্যায় বা এই ধরনের কোনো ঝুঁকিতে থাকলে, লেবু সেই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। এই সাইট্রাস ফলে প্রচুর সাইট্রিক অ্যাসিড উপস্থিত রয়েছে যা কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে। লেবুর রস মূত্রনালী সাইট্রেট গঠন করে যা পাথরের স্ফটিক বিকাশ রোধ করতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
ভিটামিন সি সংবহনতন্ত্রের রোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি এবং রক্তচাপ কমাতে পারে। লেবু ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি লেবুর রসে প্রায় ১৮.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সির পরিমাণ দৈনিক ৬৫ থেকে ৯০ মিলিগ্রাম।হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
গবেষণা দেখা গেছে, ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি খেলে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। শুধু ভিটামিন সির কারণে নয়, লেবুতে থাকা আঁশ ও উদ্ভিদ উপাদানের জন্যও হার্ট ভালো থাকে। সুতরাং লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা এর কথা সবসময় স্মরণ রাখবেন।
লেবুর রসে থাকা ফ্ল্যাভানয়েডস হার্টের রোগ সারাতে কার্যকরী।এটি শরীরের রক্ত থেকে ফ্যাট ও মিষ্টি দূর করতে সাহায্য করে। সুতরাং প্রতিদিন লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর বিষয়ে ভুলবেন না।
- কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে
অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে করার জন্য প্রতিদিন সকালে লেবু পানি পান করেন। ঘুম থেকে উঠলে হালকা গরম লেবু পানি পান করা পরিপাকতন্ত্রকে সচল রাখতে সাহায্য করতে পারে। যা খাবার আরও সহজে হজম করতে সহায়তা করে এবং ‘টক্সিন’ জমা হওয়া রোধ করতে সাহায্য করে।
- ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে
লেবু ত্বকের জন্য দারুণ উপকালী। কারণ, লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা আপনার ত্বকের চামড়া কুঁচকে যাওয়ার বদলে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা এর কথা জানতে বাকি থাকার কথা নয়।
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। একে অ্যাসকরবিক অ্যাসিডও বলা হয়। লেবুর রস কোলাযেন তৈরিতে সাহায্য করে।এই কোলাযেন চামড়ায় ভাঁজ পড়া থেকে রক্ষা করে এবং বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
লেবুতে প্রাপ্ত ভিটামিন সি ত্বকের বার্ধক্যজনিত শুষ্ক ত্বক এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। ত্বক যদি আর্দ্রতা হারিয়ে শুষ্ক হয়, তাহলে বার্ধক্যজনিত প্রবণতা দেখা দেয়। সকালে এক গ্লাস লেবু পানি এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
- মুখের দুর্গন্ধ হ্রাস করে
রসুন, পিঁয়াজ বা মাছের মতো তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের প্রতিকার করে থাকে। খাবারের পরে এবং সকালে প্রথমে এক গ্লাস লেবু পানি পান করে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এড়ানো যেতে পারে। তাছাড়া লেবু লালাগ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে। ফলে মুখগহ্বর শুষ্ক হয় না ও ব্যাক্টেরিয়ার দ্বারা সৃষ্ট নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধর আশঙ্কা থাকে না।
দাঁতের ব্যথা দূর করেলেবুতে অ্যান্টিইনফ্লেমারি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। তাই যাদের দাঁতে ব্যথা আছে, তারা লেবুর রসের সাথে পানি মিশিয়ে তাতে একটু লবণ যোগ করে দাঁতে লাগালে উপকার পাবেন। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার ব্যবহারে আপনার দাঁতের ব্যথা কমে আসবে।
লেবুর রস মাঁড়ি থেকে রক্ত পড়া ও ফুলে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে । লেবুতে থাকা ভিটামিন সি দাঁতের মাড়িকে রক্ষা করে। সূতরাং লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।
- জীবাণু নাশক হিসেবে কাজ করে
লেবুর রস খাবারে থাকা সালমোনেলা জীবাণুকে মারতে সাহায্য করে।লেবুর রসে অল্প ভিনিগার মিশিয়ে বাথরুমে ঢাললে ১৫ মিনিটে জীবাণু পরিষ্কার হয়ে যায়।
- ক্যানসার প্রতিরোধ করে
লেবুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে ক্যানসার হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।লেবুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভার, হাড়, পাকস্থলী, ব্রেস্ট ও কোলন ক্যানসার থেকে রক্ষা করে । সুতরাং নিয়মিত লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর বিষয় মাথায় রাখবেন।
খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
লেবু একটি ভিটামিন সি জাতীয় ফল যার উপকারিতা অত্যন্ত বেশি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানির সাথে যদি কয়েক ফোঁটা লেবু মিশ্রিত করে খাওয়া যায়, তবে এর অভাবনীয় উপকার আপনি কিছুদিনের মধ্যেই পাবেন। আসুন জেনে নেয়া যাক সকালে খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা-
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
আপনি যদি ডায়েট করার চিন্তা-ভাবনা করতে থাকেন, তাহলে লেবু পানিকে আপনার সেরা বন্ধু হিসেবে বেছে নিতে হবে। লেবুতে আছে পলিফেনলস্ যা ক্ষুধা নিবারণে সাহায্য করে। এছাড়া খাওয়ার আগে পানি পান করলেও ক্ষুধা কিছুটা কম লাগে। ৮-১২ আউন্স নরমাল বা ঠাণ্ডা পানিতে পুরো একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তবে ওজন কমানোর জন্য ঠাণ্ডা লেবুর পানিই বেশি কার্যকরী।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
লেবুতে আছে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও লেবুতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যার প্রভাবে শরীরে কোনো রোগ জীবাণু সহজে বাসা বাঁধতে পারে না। তাই যেকোনো ধরনের ইনফেকশন বা অসুস্থতা এড়াতে লেবুর কোনো বিকল্প নেই। আর লেবুর খোসায় আছে ক্যালসিয়াম, পেকটিন, ফাইবার ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যা বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে সাহায্য করে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
লেবু পানিতে যে এসিড রয়েছে তা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এতে আছে সাইট্রাস ফ্লাভোনইডস্ যা পাকস্থলীতে খাবারকে ভেঙে সহজেই হজম করে। বয়সের সাথে সাথে হজম ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়াও পানির সাথে কয়েক টুকরা লেবু বা কুচি করা লেবুর খোসা মিশিয়ে খেলেও আপনি পেকটিনের গুণ পাবেন। পেকটিন হলো এক ধরনের ফাইবার যা খোসা থেকে পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা যায় যে, ফাইবার হজম শক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই লেবু পানি না খেলেও টুকরা লেবু পানিতে দিয়ে বা লেবুর খোসা পানিতে দিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
লেবুর রস থেকে ভিটামিন সি পেতে পারেন। ভিটামিন সি-তে রয়েছে বেশ কার্যকরী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে। ভিটামিন সি কার্ডিওভাস্কুলারজনিত রোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি স্কার্ভি রোগের প্রতিরোধক, যার ফলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা সমাধান হতে পারে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করে নিন। শুধু লেবুর রস পানি দিয়ে পান করতে খারাপ লাগলে এর সাথে মধু ও সামান্য লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন ।লেবু পানি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানেও দারুণ কাজ করে। তাই সকালে উঠে লেবু পানি পান করলে আপনার পেট পরিষ্কার হওয়ার ব্যাপারটা একেবারেই নিশ্চিত।
- কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে
কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যা এখন অহরহ দেখা যায়। কিন্তু এই রোগটি যেন না হয় তাই আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা। ডিহাইড্রেশন বা পানির স্বল্পতার কারণে কিডনিতে পাথর জমে। তাই লেবু পানি পান করলে আপনার শরীরে পানির অভাব হবে না এবং কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনাও থাকবে না। এছাড়া লেবু কিডনি ও পাকস্থলীর পাথর গলাতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
ভিটামিন সি সংবহনতন্ত্রের রোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি এবং রক্তচাপ কমাতে পারে। লেবু ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি লেবুর রসে প্রায় ১৮.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর পরিমাণ দৈনিক ৬৫ থেকে ৯০ মিলিগ্রাম। যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
লেবুতে যে সাইট্রাস আছে তা সহজেই মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রোধ করে। আর তাই মুখে দুর্গন্ধ হয় না। তবে লেবুর এসিড দাঁতে অতিরিক্ত পরিমাণ পড়লে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই মাঝে মাঝে স্ট্র দিয়ে লেবু পানি পান করতে পারেন।
- সংক্রমণের প্রকোপ কমে
লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ। তাই তো লেবু পানি যে কোনও ধরনের সংক্রমণ, বিশেষত গলার সংক্রমণ কমাতে দারুনভাবে সাহায্য় করে থাকে। এক্ষেত্রে লেবু পানি দিয়ে গার্গেল করলেই উপকার পাওয়া যায়।
- শরীর হাইড্রেট রাখবে
লেবুর গুণ আপনাকে সরাসরি হাইড্রেট রাখবে না। তবে লেবুর স্বাদ এ বিষয়ে পালন করবে এক অনন্য ভূমিকা। শরীরে পানির পারফেক্ট ব্যালেন্স বজায় রাখতে সারাদিনে আপনার প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা দরকার। পানিতে কোনো স্বাদ নেই বলেই হয়তবা বারবার খাবার আগ্রহটা কাজ করে না। সেক্ষেত্রে লেবু পানি পানে স্বাদও পাবেন এবং হাইড্রেটও থাকবেন।
- বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে
গবেষকদের মতে, ভিটামিন সি বলিরেখার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে আনে। ভিটামিন সি-তে আছে কোলাজেন যা ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে।
- লিভারের কার্যক্রম সচল রাখে
লিভার আপনার শরীরে ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। লেবুর সাইট্রাস ফ্লাভোনইডস্ লিভার থেকে বর্জ্য ফেলে দিতে ও লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। তাই লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য লেবু পানি খুব উপকারী।
- পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়ায়
সাধারণত পটাশিয়ামের কথা বললেই প্রথমে কলা এবং বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফলমূলের কথা মাথায় চলে আসে। কিন্তু লেবু থেকেও যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম পাওয়া সম্ভব। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, মাংসপেশীর কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও হার্টবিট নিয়ন্ত্রণ করে।যেহেতু লেবুতে পটাশিয়াম রয়েছে তাই দিনের শুরুতে লেবু পানি পান করে নিলে আপনার শরীরে পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।
- বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে
ঠাণ্ডা পানি বিপাকে তুলনামূলক বেশি উপকারী। আর লেবুর খোসা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে যা বিপাক প্রক্রিয়ায় সহায়ক। তাই ঠাণ্ডা লেবুর পানিতে কিছুটা লেবুর খোসা কুচি করে মিশিয়ে খেয়ে নিন।
- গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য উপকারি
গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ ছাড়াও গর্ভস্থ শিশুর চাহিদাও পূরণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ভিটামিন সি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লেবু পানিতে আছে ভিটামিন সি যা গর্ভবতী মায়ের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস ধ্বংস করবে এবং হাড়ের টিস্যুগুলো মজবুত রাখবে। আর গর্ভে থাকা শিশু যেকোনো ধরনের রোগ-জীবাণু থেকে মুক্ত থাকবে।
- ক্লান্তি দূর করে
গরমের দিনে আমাদের শরীর প্রচণ্ড ঘেমে যায়। ফলে শরীরে ব্লাড সুগার লেভেল কমে যায় এবং আমরা ক্লান্ত হয়ে যায়। লেবু পানিতে চিনি মিশিয়ে পান করে নিলে ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে যায় এবং ক্লান্তিটা আর থাকে না।
- ডায়াবেটিক রোগীর জন্য উপকারি
লেবুতে যে ফাইবার আছে তা আপনার শরীর ভাঙতে পারে না বলেই ব্লাড সুগার লেভেলে এর জন্য কোনো প্রভাব পড়ে না। Joslin Diabetes Center-এর পরামর্শ অনুযায়ী দিনে ২০-৩৫ গ্রাম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। মাঝারি আকারের একটি লেবুর রস থেকে ২.৪ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায় যা একজন ডায়াবেটিক রোগীর শরীরে ৭-১২% ফাইবারের চাহিদা পূরণ করে।
- ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে
লেবুতে প্রাপ্ত ভিটামিন সি ত্বকের বলিরেখা, বার্ধক্যজনিত শুষ্ক ত্বক এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। ত্বক যদি আর্দ্রতা হারিয়ে শুষ্ক হয়, তাহলে বলিরেখার প্রবণতা দেখা দেয়। সকালে এক গ্লাস লেবুপানি এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
- পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়
লেবু পানির ভেতরে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মজুত থাকে, সেই সাথে উপস্থিত থাকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম যা দেহের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে শরীরকে শক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- দেহের ভেতরে পি এইচ লেভেল ঠিক থাকে
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লেবু পানি খেলে দেহের ভেতরে পি এইচ লেভেলের ভারসাম্য ঠিক থাকে। ফলে ভেতর এবং বাইরে থেকে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে এবং দেহের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- টিবি রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে
টিবি রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধের সঙ্গে লেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যদি খাওয়া যায়, তাহলে ওষুধের কর্মক্ষমতা মারাত্মক বৃদ্ধি পায়। ফলে রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
- ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে
বিউটি প্রডাক্ট যা করে উঠতে পারেনি, তা লেবু পানি নিমেষে করে ফেলতে পারে। আসলে এই পানীয়তে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান ত্বকের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে। ত্বকের বয়স কমানোর পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। গরমকালে ত্বককে ঠাণ্ডা এবং ঘামমুক্ত রাখতে লেবুর পানি দিয়ে বারে বারে মুখটা ধুতে পারেন, দেখবেন উপকার পাবেন।
- লিভারের কার্যক্রম সচল রাখে
লিভার আপনার শরীরে ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। লেবুর সাইট্রাস ফ্লাভোনইডস লিভার থেকে বর্জ্য ফেলে দিতে ও লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। তাই লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য লেবু পানি খুব উপকারী।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে
লেবু থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম পাওয়া সম্ভব। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, মাংসপেশীর কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও হার্টবিট নিয়ন্ত্রণ করে। যেহেতু লেবুতে পটাশিয়াম রয়েছে তাই দিনের শুরুতে লেবু পানি পান করে নিলে আপনার শরীরে পটাশিয়ামের চাহিদার কিছুটা পূরণ করতে পারবেন।
- স্ট্রেস থেকে মুক্তি মেলে
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, নিয়মিত লেবুর পানি খেলে স্ট্রেস একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে অবসাদের প্রকোপ কমে। আসলে লেবু পানিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে এমন সব সমস্যা নিমেষে কমে যেতে শুরু করে।
- নিশ্বাসে সজীবতা আনে
খাওয়ার পর অনেক সময় মসলা- পেঁয়াজ, রসুন বা মাছের গন্ধ মুখে লেগে থাকে। মুখের দুর্গন্ধ বা নিশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে খাওয়ার পর এক গ্লাস লেবুর পানি পান করতে পারেন। এক্ষেত্রে সকালে পান করলেও ফল পাওয়া যায়। এছাড়া লেবু পানিতে কুলকুচি করলে মুখ সতেজ ও সুস্থ থাকে।
ভরা পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
- ভরা পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে লেবু শরীরে ভিটামিন 'সি'র ঘাটতি পূরণ করতে পারে।লেবুতে থাকে ভিটামিন 'সি', যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে লেবু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের কোষকে ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- ভরা পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম হল লেবু পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, অর্থাৎ দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে ভূমিকা রাখে।
- ভরা পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হল এক গ্লাস লেবুপানি খেলে হজমশক্তি বাড়ে। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
- লেবুপানি পানে লেবুতে থাকা উপকারী উপাদান ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন 'সি'র কোলাজেন ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে।এটি ভরা পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা।
- নিয়মিত ভরা পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে একটি হল কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
- লেবুপানি পান করলে শরীর ও মন সতেজ থাকে এবং ক্লান্তিভাব কম হয়। এটিও ভরা পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম।
গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
- গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে লেবু শরীরে ভিটামিন 'সি'র ঘাটতি পূরণ করতে পারে।লেবুতে থাকে ভিটামিন 'সি', যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে লেবু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের কোষকে ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম হল লেবু পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, অর্থাৎ দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে ভূমিকা রাখে।
- গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হল এক গ্লাস লেবুপানি খেলে হজমশক্তি বাড়ে। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
- লেবুপানি পানে লেবুতে থাকা উপকারী উপাদান ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন 'সি'র কোলাজেন ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে।এটি গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা।
- নিয়মিত গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতাএর মধ্যে একটি হল কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
- লেবুপানি পান করলে শরীর ও মন সতেজ থাকে এবং ক্লান্তিভাব কম হয়। এটিও গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম।
ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
- ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে লেবু শরীরে ভিটামিন 'সি'র ঘাটতি পূরণ করতে পারে।লেবুতে থাকে ভিটামিন 'সি', যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে লেবু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের কোষকে ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম হল লেবু পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, অর্থাৎ দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে ভূমিকা রাখে।
- ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হল এক গ্লাস লেবুপানি খেলে হজমশক্তি বাড়ে। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
- লেবুপানি পানে লেবুতে থাকা উপকারী উপাদান ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন 'সি'র কোলাজেন ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে।এটি ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা।
- নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে একটি হল কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
- লেবুপানি পান করলে শরীর ও মন সতেজ থাকে এবং ক্লান্তিভাব কম হয়। এটিও ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম।
সকালে গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
- সকালে গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে লেবু শরীরে ভিটামিন 'সি'র ঘাটতি পূরণ করতে পারে।লেবুতে থাকে ভিটামিন 'সি', যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে লেবু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের কোষকে ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- সকালে গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম হল লেবু পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, অর্থাৎ দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে ভূমিকা রাখে।
- সকালে গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হল এক গ্লাস লেবুপানি খেলে হজমশক্তি বাড়ে। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
- লেবুপানি পানে লেবুতে থাকা উপকারী উপাদান ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন 'সি'র কোলাজেন ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে।এটি সকালে গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা।
- নিয়মিত সকালে গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতাএর মধ্যে একটি হল কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
- লেবুপানি পান করলে শরীর ও মন সতেজ থাকে এবং ক্লান্তিভাব কম হয়। এটিও সকালে গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম।
সকালে ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
- সকালে ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে লেবু শরীরে ভিটামিন 'সি'র ঘাটতি পূরণ করতে পারে।লেবুতে থাকে ভিটামিন 'সি', যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে লেবু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের কোষকে ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- সকালে ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম হল লেবু পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, অর্থাৎ দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে ভূমিকা রাখে।
- সকালে ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হল এক গ্লাস লেবুপানি খেলে হজমশক্তি বাড়ে। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
- লেবুপানি পানে লেবুতে থাকা উপকারী উপাদান ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন 'সি'র কোলাজেন ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে।এটি সকালে ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা।
- নিয়মিত সকালে ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে একটি হল কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
- লেবুপানি পান করলে শরীর ও মন সতেজ থাকে এবং ক্লান্তিভাব কম হয়। এটিও সকালে ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম।
ভাতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
- ভাতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে লেবু শরীরে ভিটামিন 'সি'র ঘাটতি পূরণ করতে পারে।লেবুতে থাকে ভিটামিন 'সি', যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে লেবু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের কোষকে ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- ভাতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম হল লেবু পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, অর্থাৎ দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে ভূমিকা রাখে।
- ভাতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা হল এক গ্লাস লেবুপানি খেলে হজমশক্তি বাড়ে। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
- লেবুপানি পানে লেবুতে থাকা উপকারী উপাদান ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন 'সি'র কোলাজেন ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে।এটি ভাতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা।
- নিয়মিত ভাতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা এর মধ্যে একটি হল কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
- লেবুপানি পান করলে শরীর ও মন সতেজ থাকে এবং ক্লান্তিভাব কম হয়। এটিও ভাতে লেবু খাওয়ার উপকারিতাএর মধ্যে অন্যতম।
অতিরিক্ত লেবু খেলে কি হয় - খালি পেটে লেবু খাওয়ার অপকারিতা
- দাঁত ও হাঁড়ে সমস্যা
গবেষণায় দেখা গেছে, কোমল পানীয় খেলে দাঁতের যে ক্ষতি হয় গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেলেও দাঁতের সেরকম ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া যারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবুপানি খান তারা যদি দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ না করেন তাহলে দাঁতে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- হজমে সমস্যা
আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পেপসিন ভেঙে যায় খালি পেটে লেবুপানি পান করলে। পেপসিন আমাদের হজমে সাহায্য করে। এটি মূলত প্রোটিন হজম করতে সাহায্য করে। এদিকে সাইট্রিক এসিড আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর এনজাইম তৈরি করে। ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। তাই হজম ঠিক রাখতে অতিরিক্ত লেবু খেলে কি হয় বা খালি পেটে লেবু খাওয়ার অপকারিতা থেকে বিরত থাকুন।
- অ্যাসিডিটি দেখা দিতে পারে
আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন সি জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত ভিটামিন সি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত লেবু বা লেবুর রস যদি খেয়ে থাকেন তবে দেখা দিতে পারে অ্যাসিডিটি। সেইসঙ্গে হতে পারে বমি বা বমি বমি ভাব। পরবর্তীতে সমস্যা আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে।
- সোডিয়াম ও ইলেকট্রোলাইটের অভাব হতে পারে
গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে তা আমাদের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। শরীর শক্ত হয়ে যাওয়া, পেট ফেঁপে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। বারবার প্রস্রাব হলে শরীরের সোডিয়াম ও ইলেকট্রোলাইট বেরিয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় নানা রকম অসুস্থতা। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে অতিরিক্ত লেবু খেলে কি হয় | খালি পেটে লেবু খাওয়াএড়িয়ে চলুন।
- রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়
আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হলো আয়রন। ভিটামিন সি আমাদের রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আয়রন যদি অতিরিক্ত হয় তবে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে অতিরিক্ত লেবু খেলে কি হয় তা বুঝতে পেরেছেন। তাই খালি পেটে লেবুপানি পান করবেন না।
পরিশেষ
লেবুর পুরোটাই গুণসমৃদ্ধ হলেও মাত্রাতিরিক্ত লেবু খাওয়া উচিত নয়।অনেকেই সকালবেলা খালি পেটে গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খান। বাড়তি মেদ ঝরানোর আশায় তারা এমনটা করে থাকেন। কিন্তু লেবু আসলেই উপকারী। সকালে খালি পেটে লেবু পানি খাওয়ার মাধ্যমে আপনি নিজের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন এবং পরিমান মতো লেবু খাবেন।
আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url