মেয়েদের ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
মেয়েদের ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়গুলো সম্পর্কে জানার প্রয়োজন আছে। মেয়েদের অনেক সময় বাইরের ধুলো-বালির কারণে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। সাধারনত মেয়েরা রুপচর্চার জন্য ফেসিয়াল, বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকে।
ত্বককে বাইরের ধুলাবালি ও রোদ থেকে রক্ষা করুন। কারণ বাইরের রোদের তাপ ত্বকে পিগমেন্টেশন তৈরী করতে পারে। ফলে ত্বকে সহজে হয়ে যায়। তাই বাইরে বের হওয়ার সময় রোদের তাপ থেকে ত্বককে দূরে রাখতে হবে। বাইরে বেশীক্ষণ অতিরিক্ত ধুলাবালি ও কড়া রোদে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সূতরাং মেয়েদের ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায় গুলো মেনে চলুন, ফর্সা হতে পারবেন।
আরম্ভ
মেয়েদের ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন,আজকের আলোচ্য বিষয়টি মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। ফর্সা হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপায়গুলোর পাশাপাশি ভিটামিন, খনিজ ও মিনাবেল সমৃদ্ধ খাবর খেতে হবে। এছাড়া বাজরে ত্বক ফর্সা করার কিছু ক্রিম ও সাবান রয়েছে যা নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক হবে ফর্সা আরো উজ্জ্বল।
মেয়েদের ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়
- আলু ও লেবুর রস
আলু আমাদের পুষ্টির চাহিদা মিটায়, পাশাপাশি রুপচর্চাতেও দারুন পারদর্শীতার পরিচয় দেয়। চীন, জাপান, কোরিয়ানরা রুপচর্চায় ব্যাপকভাবে আলু ব্যবহার করে থাকে। আলু যেহেতু ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, খনিজ,ফসফরাস যুক্ত পুষ্টিকর সবজি।
লেবুতে থাকে ভিটামিন 'সি', যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।লেবু পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। সকালে এক গ্লাস লেবুপানি খেলে হজমশক্তি বাড়ে। লেবু শরীরে ভিটামিন 'সি' এর ঘাটতি পূরণ করতে পারে। লেবুতে থাকা উপকারী উপাদান ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখতে সাহায্য করে।
আলু - ১ চা চামচ
লেবুর রস - ১/২ চা চামচ
লেবুর রস - ১/২ চা চামচ
উপরোক্ত উাপাদানগুলো খুব ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেষ্ট তৈরী করুন। এটিকে ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মেয়েদের ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
- আলু,টমেটো ও টক দই
টমেটো ভিটামিন এ সরবরাহ করে, যা দৃষ্টিশক্তি এবং ত্বকের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে এছাড়াও টমেটোতে ভিটামিন-কে রয়েছে যা হাড়ের জন্য অনেক ভালো। এছাড়াও টমেটো পটাসিয়াম প্রদান করে,হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা, পেশী সংকোচন এবং স্বাস্থ্যকর রক্তচাপ এবং তরল ভারসাম্য বজায় রাখে।
ভিটামিন উপাদান দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২, বি২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মত জরুরি উপাদান থাকে। এতে প্রোবায়োটিকে ভরপুর। হজম প্রক্রিয়া এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রোবায়োটিক কার্যকরী।ওজন নিয়ন্ত্রণে,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমনকি হাড় গঠনে সহায়ক।
আলু - ১ চা চামচ
টমেটো পেষ্ট - ১ চা চামচ
টকদই - ১ চা চামচ
উপরোক্ত উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে একটা পেষ্ট তৈরী করুন। এটিকে ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে ২০থেকে ৩০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মেয়েদের ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায় এর মধ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
- আলু টমেটো দুধের স্বর
কদুধের সরের ল্যাক্টিক অ্যাসিড ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমায় ও প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল করে। ত্বকের সার্বিক সুস্থতা রক্ষায় দুধের সর উপকারী। দুধের সর ত্বকের কালো দাগ সহজে দূর করতে উপকারী । দুধের সরের সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি ত্বকের ওপর শুকিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আলু - ১ চা চামচ
টমেটো পেষ্ট - ১ চা চামচ
দুধের স্বর - ১/২ চা চামচ
লেবুর রস -১/২ চা চামচ
উপরোক্ত উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে একটা পেষ্ট তৈরী করুন।তারপর এটিকে ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে ২০থেকে ৩০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মেয়েদের ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- আলু,স্ট্রবেরি ও মধু
স্ট্রবেরি-তে রয়েছে কার্যকর ক্লিনজিং প্রপার্টিস, যা ত্বকের ড্যামেজ হওয়া প্রতিরোধ করে।দাগ দূর করে,
ত্বক উজ্জ্বল করে,চুল ঝরা রোধ,চুলের ন্যাচারাল কন্ডিশনার,ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে চোখের ফোলাভাব ও ডার্ক সার্কেল দূর করে।
দীর্ঘ দিন ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে মধু দারুণ উপকারী। নিয়মিত ১ টেবিল-চামচ পরিমাণ মধু পরিষ্কার ও শুষ্ক ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ। মধুতে আছে এনজাইম যা ত্বক ও লোমকূপের গভীরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে।
আলু - ২ চা চামচ
স্ট্রবেরি - ১ টা
মধু - ১/২ চা চামচ
উপরোক্ত উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে একটা পেষ্ট তৈরী করুন। এটিকে ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।দেখবেন ত্বকের উজ্জলতা অনেকটা বেড়েছে।
- মুলতানি মাটি , গোলাপজল ও আলু
মুলতানি মাটির উপকারিতা উজ্জ্বল ও দাগহীন ত্বক পেতে ভীষণ উপযোগী। রূপচর্চায় ভালো ফল পেতে মুলতানি মাটির জনপ্রিয়তা অনেক। গোলাপজল ত্বক পরিষ্কারসহ ত্বক সতেজ রাখতে, ব্রণ দূর করতে, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট হেডস দূর করতে সাহায্য করে। গোলাপজল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের মলিনতা দূর করে এবং দাগ দূর করে।
আলু - ১ টেবিল চামচ
মুলতানি মাটি - ১/২ টা
গোলাপ জল - ১ চা চামচ
উপরোক্ত উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে একটা পেষ্ট তৈরী করুন।এই মাস্কটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুব কার্যকর।এটিকে ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।দেখবেন ত্বকের উজ্জলতা কতোটা বেড়েছে।
- টকদই, হলুদ ও আলু
হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, এটি শুধুমাত্র খাবারেই ব্যবহার করা হয় না, এটি ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, হলুদ মুখের ব্রণ এবং ব্রণর মতো ত্বক সম্পর্কিত আরও অনেক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
আলু - ১ টেবিল চামচ
টক দই - ১ চা চামচ
হলুদ - ১ চিমটি
উপরোক্ত উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে একটা পেষ্ট তৈরী করুন।তারপর এটিকে ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মেয়েদের ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায় গুলো ব্যবহার করুন। দেখবেন ত্বকের উজ্জলতা কতোটা বেড়েছে।
- কাঁচা দুধ, আমন্ড অয়েল ও আলু
আমন্ড অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে, যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে।আমন্ড অয়েলে উপস্থিত অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে দিতে এই তেলের জুড়ি নেই। মুখের জৌলুস ফেরাতে আমন্ড অয়েল বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
আলু - ১ টেবিল চামচ
কাঁচা দুধ - ১ চা চামচ
আমন্ড অয়েল - ২/৩ ফোঁটা
উপরোক্ত উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে একটা পেষ্ট তৈরী করুন। এটিকে ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।দেখবেন ত্বকের উজ্জলতা কতোটা বেড়েছে।
- আলু কাঁচা দুধ ও গ্লিসারিন
কাঁচা দুধ ও চালের গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। ঘরোয়া উপায়ে উজ্জ্বল ত্বক পেতে কাঁচা দুধ উপকারী। তবে ত্বক সংবেদনশীল হলে বা ল্যাকটোস অসহিষ্ণু হলে না ব্যবহার করাই ভালো। কাঁচা দুধ সপ্তাহে দুয়েকবার ব্যবহার করতে হবে।
গ্লিসারিন ক্লিনজিং এর একটি দুর্দান্ত উপাদান। এটি ত্বকের আর্দ্রতা স্তর বজায় রাখার সময় বাহ্যিক ত্বকের স্তরের সুরক্ষায় কোনো ক্ষতি না করে তেল এবং ময়লা দূর করতে সহায়তা করে। মেকাপ তুলতে এটি দ্রুত এবং কার্যকরী সহায়ক। ত্বক খুব বেশি নিস্তেজ হয়ে পড়লে গ্লিসারিনের সঙ্গে অ্যালোভেরা মাস্ক লাগানো যায়।
আলু - ১ টেবিল চামচ
কাঁচা দুধ - ১ চা চামচ
গ্লিসারিন - ২/৩ ফোঁটা
চালের গুঁড়া-১ চা চামচ
উপরোক্ত উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে একটা পেষ্ট তৈরী করুন।তারপর এটিকে ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মেয়েদের ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
- আলু ও শসা
শসায় যে পানি থাকে, তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাড়ুর মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়। প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশি ভাগ শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করতে পারে শসা। দাগমুক্ত ত্বকের জন্য শসার রসে প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে পারে। হাইড্রেটেড ত্বকের জন্য শসায় প্রায় ৯৫ শতাংশই পানি। ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্য শসা অনেক কার্যকারী।
আলু - ১ কাপ
শসা - ১ কাপ
উপরোক্ত উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে একটা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেষ্ট তৈরী করুন।তারপর এটিকে ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সূতরাং এগুলোই হচ্ছে মেয়েদের ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়
মেয়েদের ফর্সা হওয়ার খাবার
- পানিঃ
চেহারা চকচকে উজ্জ্বল রাখতে বেশি বেশি পানি পান করুন। প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করুন। ত্বকের ভাঁজ দূর করার পাশাপাশি শরীরে চিনি জমতে দেয় না।পানি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান ঘামের মাধ্যমে বের করে দেয়। পর্যাপ্ত পানি পেলে ত্বকের কোষে পানি পৌঁছায় এবং ত্বক সজীব রাখে। পরিমিত পানি পান করলে ব্রণ হওয়া কমে যায়।
টমেটোতে আছে ভিটামিন সি, ই এবং বিটা ক্যারোটিন যা ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে।ত্বক ভালো রাখার উপাদান ভিটামিন বি যেমন- বি ওয়ান,বি থ্রি, বি ফাইভ, বি সিক্স এবং বি নাইন ইত্যাদি টমেটোতে পাওয়া যায়। এই ভিটামিনগুলো ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভাঁজ, দাগ, চোখের চারপাশের দাগ, পিগমেন্টেশন ইত্যাদি থেকে টমেটো ব্যবহারে রক্ষা পাওয়া যায়।
লেবু, কমলা, জাম্বুরা, মাল্টা এগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে দারুন কার্যকরী। কারণ এতে আছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,যা স্কিনকে ন্যাচারালি সুন্দর করতে সাহায্য করে। মেলানিন কমিয়ে স্কিনকে উজ্জ্বল করে তুলতে লেবু জাতীয় ফল বেশ ভালো কাজ করে।
শসা খেলে আপনি অনেক উপকার পাবেন।শসাতে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি আর ভিটামিন কে। আর এই উপাদানগুলো আপনার স্কিনকে রাখে চকচকে এবং উজ্জ্বল। আরও উপকারিতা আছে, বয়সের ছাপ কমাতে এবং স্কিনকে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখতে দারুন কার্যকরী।
কলা চেহারা সুন্দর রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী ফল। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-এ, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পাশাপাশি এটি ত্বকের রুক্ষভাব দূর করতে সাহায্য করে।
আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, এ, সি আর অন্যান্য দরকারি নিউট্রিয়েন্ট।চেহারার সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং চেহারাকে তারুণ্যদীপ্ত দেখাতে এই ফলটি দারুন কাজ করে।
গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন। স্কিনের আউটার লেয়ারে কোষের বৃদ্ধি করে, স্বাস্থ্যসম্মত ত্বক কোষকে উন্নত করে ত্বককে লাবণ্যময় করে তোলে। গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যেটা ড্যামেজড কোলাজেন রিস্টোর করে। যা ত্বককে রাখে চকচকে এবং উজ্জ্বল।
চেহারা সুন্দর করার জন্য বাদাম দারুন উপকারি। বাদাম ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস। এটি ড্যামেজড স্কিন সেলসকে রিপেয়ার করে এবং ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে। স্নেহজাতীয় খাবার ত্বককে সুস্থ্য ও সুন্দর রাখে। এতে থাকা প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কভাব কমিয়ে দেয়।
দুধকে বলা হয় আদর্শ খাদ্য, কেননা এতে সব ধরনের খাদ্যগুণ আছে। দরকারি ল্যাকটিক এসিড,মিনারেলসহ পুষ্টি উপাদান দুধে আছে।যা স্কিনকে সুন্দর করতে সাহায্য করে। আর প্রোটিন ত্বকের কোলাজেন বুস্ট করতে দরকারি ভূমিকা রাখে। রেগুলার ২ কাপ করে দুধ পান করলে ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ পড়া রোধ হয়। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে দুধ পান করুন।
শরীরকে সুন্দর করার জন্য গ্রীন টি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উপাদান। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।গ্রীন টি ডার্ক স্পট কমাতে এবং অকালবার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বককে স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে এবং চেহারা সুন্দর করতে দারুন কার্যকরী।
পালং শাকে আরো আছে ভিটামিন এ, ই, কে- যা স্কিনকে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো স্কিনের তারুণ্য বজায় রাখে, সেই সাথে বার্ধক্যের ছাপ পড়ার প্রক্রিয়াকে বিলম্ব করে।
সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। রান্না করা সবজির পাশাপাশি সালাদ হিসেবে কাঁচা সবজিও ত্বকের জন্য উপকারী।
ডার্ক চকলেটে ফ্লাভানল নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে, যেটা স্কিনকে মসৃণ ও সুন্দর রাখতে কাজ করে।এটি অকালবার্ধক্যও রোধ করে। পরিমিত পরিমাণে ডার্ক চকলেট খেলে ত্বক সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি হার্ট ভালো থাকে।
চেহারায় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা চাইলে প্রতিদিনের খাবারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ রাখুন। এই অ্যাসিড চেহারায় বয়সের গতি ধীর করে এবং প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখে। ওমেগা থ্রি শক্তিশালী প্রদাহরোধী উপাদান সমৃদ্ধ যা ব্রণ দূর করে। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে ওমাগা থ্রি সমৃদ্ধ মাছ খাওয়া উপকারী।
ছেলেদের চেহারা সুন্দর করার খাবার জন্য মধু অনেক উপকারী। আধা চামুচ মধুর সঙ্গে এক টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
ত্বকের বিভিন্ন ছোটখাটো সমস্যার সাথে অন্ত্রের একটি সম্পর্ক আছে। টকদইয়ে আছে বিভিন্ন ধরণের প্রো-বায়োটিকস, যেটি হজমে সাহায্য করে।এটি স্কিনের অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান দেয়। ত্বকের শুষ্কতা দূর করে স্কিনকে করে উজ্জ্বল ও লাবন্যময়।
ত্বকের জন্য দারচিনি খুব উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এই মসলা রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করে।ব্রণ-ফুসকুড়ি রোধে দারুচিনি দারুণ কার্যকর।
জিরায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরে জমে থাকা দূষিত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। শরীরে দুষিত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণ ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় জিরা রাখা উচিত।
রসুনে আছে স্কিন-প্রোটেক্টিভ পলিফেনল। যা আপনার ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য় করে।সূতরাং রসুন ছেলেদের চেহারা সুন্দর করার খাবার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মেয়েদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম
ফেয়ারনেস ক্রিম কেনার সময় খেয়াল রাখবেন, এতে নিয়াসিনামািইড, ভিটামিন সি, কোজিক এসিড, লিকোরিস এক্সট্র্যাক্ট বা আলফা আরবুটিন উপাদানসমূহ ও গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক এসিড ময়শ্চারাইজিং উপাদান আছে কিনা। অতএব মেয়েদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম গুলো নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
- Wow fairness cream
- Himalaya herbal clear complexion
- OLAY white residence
- 03+whitening cream
- Stbotanica pure radiance anti ageing
- & face brightening cream
- Plum E luminence deep moisturizing
- Bella vita papayablem anti blemish
- Lakme absolute perfect residence
- Garnier light complete
- Lotus herbals white glow
মেয়েদের ফর্সা হওয়ার সাবান
অনেকের মধ্যে ভুল ধারনা আছে যে, ত্বক ফর্সা হলেই কেবল সে সুন্দর ব্যপারটা তা নয়।এই বিষয়টা জানার পরও আমরা চেষ্টা করি কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়। সকলেই নিজের ত্বককে ফর্সা করার জন্য প্রানান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যায়। তাই প্রাচীন কাল থেকেই মানুষেরা ত্বক ফর্সা করার জন্য নানা ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে।
থাইল্যান্ডের একটি সাবান বাজারে পাওয়া যায় যার নাম Fiorae whitening soap যা নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জল ও স্থায়ীভভাবে ফর্সা হবে। এই সাবনটি ছেলে ও মেয়ে উভয়েই ব্যবহার করতে পারেন। এই সাবনটি ব্যবহারে কালো দাগ, মুখে যেকোনো অপারেশনের দাগ কিংবা কোনো হালকা দাগ অনায়াসেই দুর করতে পারে। তবে সংবেদশীল ত্বকের জন্য এটি অনুপোযোগী।
Whitening goat milk soap নামে একটি সাবান পাওয়া যায় যাতে সব ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান এবং শরীরের জন্য খুব উপকারী। এই সাবানের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়ায় খুব অল্প সময়ে মধ্যে ত্বক ফর্সা করে দিবে।
আরেকটি ত্বক ফর্সাকারী সাবানের নাম হলো Facial SPA soap যার নিয়মিত ব্যবহারে শরীরের পুরো অংশ পরিষ্কার ও ফর্সা করবে।এই সাবান ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে ত্বককে করে তুলে প্রানবন্ত ও উজ্জল। সূতরাং মেয়েদের ফর্সা হওয়ার সাবান গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আরোও কিছু ত্বক ফর্সাকরী সাবন রয়েছে যেমন: Vitamin E whitening soap, Dr. Davey black soap, Pink lady secret soap, gold 24k whitening soap, Konjac white soap ইত্যাদি। মেয়েদের ফর্সা হওয়ার সাবান গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
পরিশেষ
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা জেনে গেছি মেয়েদের ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়গুলো সম্পর্কে। অতএব, আপনি যদি বিষয়গুলো নিয়মিতভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ত্বক ফর্সা হবে।
আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url