মেয়েদের দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায় সমূহ জেনে নিন
মেয়েদের দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায় জানা দরকার । কারণ মেয়েরা ১০ থেকে ১৬ বছরের ব্যবধানে দ্রুত লম্বা হয়। ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সে মেয়েদের শারীরিক গঠনে পরিপূর্ণতা চলে আসে। মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইস্টোজেন হরমোন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যে হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের দ্রুত লম্বা হওয়াসহ শারীরিক গঠনে পরিবর্তন হয়।
অনেকে নিজের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য শরীরচর্চা করেন। সাধারণত একজন মেয়ে কতটুকু লম্বা হবে তা তার জেনেটিক ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে। জেনেটিক ফ্যাক্টর এখানে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভূমিকা রাখে। পিটুইটারি গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত গ্রোথ হরমোন আসলে শরীরের বৃদ্ধি অব্যাহত রাখে।
আরম্ভ
মেয়ে ১৬ এবং ছেলেরা ১৮ বছরের পর প্রাকৃতিকভাবে লম্বা হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে যাদের বয়স ২০ থেকে ২৫ এর মাঝামাঝি তারা ব্যায়াম এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কিছুটা লম্বা হতে পারেন। আপনি যদি লম্বা হতে চান সেক্ষেত্রে ব্যায়াম এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। সেটা কিভাবে? চলুন মেয়েদের দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায় গুলো জেনে নেয়া যাক।
মেয়েদের দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায়
মেয়েরা অনেকেই নিজেদের উচ্চতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। যার জন্য অনেকেই অনুসন্ধান করেন কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়। সুতরাং আজ আপনাকে মেয়েদের দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানাবো।
- মেয়েদের দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায় হচ্ছে খাদ্য বা ভিটামিন
প্রোটিনঃ প্রোটিন শরীরের গঠনমূলক উপাদান, যা উচ্চতা বৃদ্ধি করে। প্রোটিনের উৎস হিসাবে মাংস, মাছ, ডাল, দুধ, পনির, সোয়াবিন ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা যেতে পারে।
ক্যালসিয়ামঃ ক্যালসিয়াম হাড়, দাঁত, এবং শরীরের উচ্চতাকে প্রভাবিত করে। ক্যালসিয়ামের উৎস হিসাবে দুধ, দই, পনির, মাখন, খেসারি, তেলাপিয়া মাছ ইত্যাদি খাদ্য গ্রহণ করা যেতে পারে।
ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যের আলো, মাছ, মাখন ইত্যাদি থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
জিংকঃ জিংক শারীরিক বিকাশ এবং উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জিংকের উৎস হিসাবে মাংস, ডাল, খেসারি, কুমড়া ইত্যাদি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
ফাইবারঃ ফাইবার জাতীয় খাদ্য শারীরিক উচ্চতাকে প্রভাবিত করে। এর উৎস হিসাবে ফল, সবজি ইত্যাদি খাদ্য গ্রহণ করা যেতে পারে।
- মেয়েদের দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায় হচ্ছে ব্যায়াম
অনেকেই লম্বা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। কিন্তু লম্বা হওয়ার সঠিক উপায় হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যে উপায়টি সেটি হলো ব্যায়াম।
স্ট্রেচিংঃ উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য আপনি শরীরের প্রতিটি স্থানের জন্য স্ট্রেচিং করতে পারেন। এটি তালুর গোল থেকে শুরু করে কাঁধ পর্যন্ত এলাকা স্ট্রেচ করা যেতে পারে।
যোগাসনঃ যোগাসন শরীরের মাংসপেশী স্বাভাবিক এবং উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত। এটি শরীরের সমগ্র বিকাশ উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
সাইকেলিংঃ সাইকেলিং বা বাইক চালানোও শরীরের মাংসপেশী স্বাভাবিক এবং উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর। এটি মাংসপেশী সমন্বিত করে এবং শারীরিক ফিটনেস বৃদ্ধি করে।
সুতরাং উপরিউক্ত বিষয়গুলো হচ্ছে মেয়েদের লম্বা হওয়ার ব্যায়াম। ব্যায়ামগুলো সঠিকভাবে পালন করুন এবং দ্রুত লম্বা হন।
- মেয়েদের দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায় হচ্ছে শিষ্টাচার
বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত ঘুমঃ উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য মেয়েদের যথাযথ বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। নিয়মিত ঘুমানো শরীরের বৃদ্ধির সহায়ক। ঘুমানোর সময় শয়নের সঠিক পদ্ধতিও মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
নিয়মিত খাবার সংগ্রহঃ স্বাস্থ্যকর ও উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন নিয়মিত খাবার সংগ্রহ করা উচিত। প্রোটিন, সবজি, ফল, দুধ, মাখন, মাংস ইত্যাদি খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়ামঃ প্রতিদিনে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। এটি শারীরিক বিকাশ ও উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য গ্রহণঃ নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ করা উচিত। এটি শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন করে উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পারে।উপরোক্ত উপায়গুলো মেয়েদের লম্বা হওয়ার উপায় সমূহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং উপরে বর্ণিত উপায় গুলো অনুসরণের মাধ্যমে মেয়েরা খুব সহজে লম্বা হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনঃ নিয়মি ব্যায়াম করা উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েদের যোগাসনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট আয়তনের মাধ্যমে উচ্চতা বৃদ্ধি করা যায়। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসারে ব্যায়ামের মাধ্যমে উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পারেন।
সময়ে পর্যবেক্ষণ করুনঃ লম্বা হওয়া একটি সময়সীমিত প্রক্রিয়া এবং পরিবর্তন আসতে সময় লাগবে। সবসময় মনে রাখবেন যে স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন ঘটবে না এবং এটি সঠিক উচ্চতা অর্জনের জন্য কিছু সময় লাগবে। নির্দিষ্ট উচ্চতা লাভের জন্য ধৈর্য ধারণ করুন।উপরিউক্ত আলোচনা মাধ্যমে বোঝা যায়, মেয়েদের লম্বা হওয়ার উপায় গুলোর মাধ্যমে দ্রুত লম্বা হওয়া যায়।
কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়
শরীর মোটা থাকলে তাকে ছোট-খাটো দেখায়। কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায় সেই লম্বা হওয়ার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে যেসব খাদ্যাভ্যাস জরুরি তা জানুন।
- ১৮ বছরের পরও ডায়েট চার্টে রাখুন ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, প্রোটিনে ভরা খাবার।
- মুরগীর মাংস, মাছ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমান প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন পেশি ও হাঁড় গঠনে সাহায্য করে।
- খাদ্যতালিকায় শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করুন। তবে এমন শর্করা খাবেন না যা প্রচুর মিষ্টি। ভাত ও আলু খেতে পারেন।
- কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায় হিসেবে দুধ, দই এর মাধ্যমে প্রচুর ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন।
- মিষ্টিকুমড়া, চিনেবাদাম, গম এমন কিছু খাবার খাবেন যাতে প্রচুর জিংক পাওয়া যায়।
- পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে হবে। মাছ ও মাশরুম খেতে পারেন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে। দৈনিক ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। বিশেষত ২০ বছর বয়স পর্যন্ত ঘুমের সময়েই হরমোন উৎপাদিত হয়। তাই বিশ্রাম নিবেন।
- গ্রোথ ব্যাহত করে এমন অভ্যাস ত্যাগ করুন।বিশেষত এলকোহল কিংবা ধূমপান ত্যাগ করতেই হবে।
- ব্যায়াম করুন,লম্বা হওয়ার জন্যে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ। লম্বা হওয়ার জন্যে সহজ কিছু ব্যায়াম আছে। যেমন দড়ি লাফানো, সাঁতার কাটা। এছাড়াও সাইকেল চালালেও লম্বা হওয়া যায়। আজকাল সাইকেলের সিট উঁচু করা যায়। সেই সিট উঁচু করে অন্তত ত্রিশ মিনিট চালান। তাতে পীঠে টান পড়বে। তবে খেয়াল রাখবেন, অত্যধিক চাপ দেবেন না।
- জিন, শৈশবকালীন পুষ্টি, এক্সারসাইজ ইত্যাদি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে আপনি কতটা লম্বা হবেন। অতএব নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়।তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়ার জন্য মেয়েদের দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায়গুলো অনুসরণ করা দরকার।
মেয়েদের লম্বা হওয়ার উপায়
মেয়েদের দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায় এবং কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায় এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করলেই মেয়েদের লম্বা হওয়ার উপায় জানা সম্ভব। অতএব উপর্যুক্ত উপায় গুলো যথাযথ অনুসরণ করতে থাকুন। আপনার কাঙ্ক্ষিত ইচ্ছা পূরণ হবে।
- দাঁড়ানোর ভঙ্গিমা ঠিক করুন। অনেকেই নিজের অজান্তে ঝুঁকে দাঁড়ান বা হাঁটেন সেটা ঠিক নয়। একটা দেওয়ালে পিঠ টানটান করে দাঁড়ান। এরপর কাঁধ দুটি পিছিয়ে নিয়ে গিয়ে দেওয়ালে ঠেকান। প্রতিদিন বেশ কয়েকবার এটি করুন। এই সময়ে ঘাড়ও দেওয়ালের সঙ্গে ঠেকানের চেষ্টা করুন।
- হাঁটার সময়ে মেরুদন্ড ও ঘাড় সোজা রাখুন। সোজা দৃষ্টি রাখুন। কাঁধ পেছনের দিকে টানটান রাখুন। কুঁজো হওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
- আমাদের অধিকাংশেরই দিনের বেশিরভাগ সময় বসে, দাঁড়িয়ে কাটে। এর ফলে আমাদের ভঙ্গিমায় প্রভাব পড়ে। মেরুদন্ড ঝুঁকে যায়। অনেকের কাঁধ এবং ঘাড় সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে। এর ফলে উচ্চতা আরও কম লাগে।তাই নিয়মিত ঘাড়, কাঁধ, মেরুদন্ডের স্ট্রেচিং করুন।
- পেটের পেশি শক্ত করুন। নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন।পেটের পেশির স্ট্রেচিং করুন। মেয়েদের লম্বা হওয়ার উপায় হিসেবে এটি একটি অন্যতম।
- রোজ পাতে থাকুক পর্যাপ্ত প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, শাক-সবজি: অল্পবয়সীদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এমনিতেও প্রত্যেকেরই সুষম আহার করা প্রয়োজন।
- অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেললে হয় তো উচ্চতার উন্নতি হবে না। কিন্তু কোমর সরু হলে আরও বেশি লম্বা লাগবে। অতএব অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলুন।
মেয়েদের লম্বা হওয়ার লক্ষণ
মেয়েদের লম্বা হওয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যেগুলো তার নিম্নে দেওয়া হল
- যখন আপনি অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
- যখন আপনার পায়ে ব্যথা হয়।
- যখন আপনি বেশি খাবার খান
- যখন আপনার বেশি ক্ষুধা লাগে।
- কখনও কখনও আপনি ঘুমাতে পারেন না।
- সময়ের সাথে সাথে সুস্পষ্ট উচ্চতা বৃদ্ধি।
- বাহু এবং পা শরীরের অনুপাতে লম্বা দেখা যাচ্ছে।
- শরীর তার নতুন উচ্চতায় মানিয়ে নেওয়ার সাথে সাথে উন্নত বা পরিবর্তিত ভঙ্গি।
- শরীর বৃদ্ধির সাথে সাথে জামাকাপড় টাইট বা খাটো মনে হতে পারে।
- পা বাড়তে পারে, যার ফলে বড় জুতার মাপের প্রয়োজন হয়।
- ক্ষুধা বৃদ্ধি এবং বৃদ্ধির সময় পুষ্টির জন্য একটি বৃহত্তর প্রয়োজন।
অতএব বোঝা গেল যে,মেয়েদের লম্বা হওয়ার লক্ষণ উপরিউক্ত লক্ষণ সমূহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
মেয়েরা কত বছর বয়স পর্যন্ত লম্বা হয়
মেয়েরা ১৬ বছর পর্যন্ত লম্বা হতে থাকে। ঋতুস্রাব আসার পর থেকে এদের শারীরিক সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন হয়ে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে লম্বা হওয়া ২০ বছর পর্যন্ত চলতে পারে তবে সেটা খুবই কম।মেয়েরা ০৯ বছর থেকে ১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি লম্বা হয়ে থাকে। তবে মেয়েরা ১৩ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত দৈহিক উচ্চতা বৃদ্ধি সর্বশেষ সীমা অর্জন করে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন মেয়েরা কত বছর বয়স পর্যন্ত লম্বা হয়।
কিভাবে ঘুমালে লম্বা হওয়া যায়
- আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা লম্বা হয় না। লম্বা না হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো গ্রোথ হরমোন কার্যকর না থাকা। আপনার যদি গ্রোথ হরমোন ভালোভাবে কাজ করতে না পারে তাহলে আপনি লম্বা হতে পারবেন না। লম্বা না হওয়ার পিছনে আরেকটি কারণ হলো আপনার বংশগত সমস্যা। অনেকে প্রশ্ন করে থাকে কিভাবে ঘুমালে লম্বা হওয়া যায় ? তো চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- লম্বা হওয়ার জন্য সব থেকে বেশি ভূমিকা পালন করে বাবা মায়ের জিন। তারপরে লম্বা হওয়ার পেছনে যেটি কাজ করে সেটি আমাদের শরীরে থাকা গ্রোথ হরমোন। তৃতীয় বিষয়টি হল সুস্থ স্বাভাবিক এবং নিয়ম অনুসারে জীবন যাপন করা। লম্বা হওয়ার জন্য আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য পরিপূরক খাদ্যগুলো বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।
- আমাদের প্রোটিন ভিটামিন ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি আরো ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। অনেকে যে ভুলটি করে থাকে তা হল তারা ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খায় কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমায় না। অনেকে মনে করে লম্বা হওয়ার পিছনে ঘুমের কোন কার্যকারিতা নেই। কিন্তু তাদের এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ লম্বা হওয়ার পেছনে ঘুম অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- যে কারণে অনেকে জিজ্ঞেস করে কিভাবে ঘুমালে লম্বা হওয়া যায়? তো তাদের বলতে চাই আপনারা যদি লম্বা হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। ঘুমানোর সময় শক্ত বালিশ ব্যবহার করা যাবে না। আপনারা যদি পারেন সব সময় শক্ত বিছানায় ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। আর খেয়াল রাখবেন যাতে আপনাদের বিছানা সমান ও সমান্তরাল হয়।
- ঘুমের সময় আপনারা সব সময় সোজা হয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ আপনাদের মাথা এবং পা সোজা অবস্থায় উপরের দিকে থাকে। আপনি যখন এভাবে ঘুমাবেন তখন আপনার মেরুদন্ড 180° অবস্থায় থাকবে। এই অবস্থাতে হাড়ের বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হয়। রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হলে গ্রোথ হরমোন সক্রিয়ভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়।
- ঘুমানোর সময় আপনি কখনো বালিশ ছাড়া ঘুমাবেন না। কারণ বালিশের যারা ঘুমালে আমাদের ঘাড়ের পেশীতে চাপ পড়ে ফলে আমাদের রক্ত সঞ্চালনের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। রক্ত সঞ্চালনের ব্যাঘাত ঘটলে গ্রোথ হরমোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে অক্ষম হয়। এজন্য আপনারা সবসময় চেষ্টা করবেন ঘুমানোর সময় নরম বালিশ ব্যবহার করার জন্য।
- লম্বা হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো ঘুমের পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য আপনারা চেষ্টা করবেন প্রতিদিন অল্প হলেও ব্যায়াম করার জন্য। কারণ ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফলে আমাদের নিয়ন্ত্রিত ঘুম হয় এজন্য আপনার লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
- মানুষের সাধারণত ১৮ বছর পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ১৮ বছর পরেও মানুষের লম্বা হতে পারে যদি সে নিয়ন্ত্রিত জীবন এবং মানসিক চাপমুক্ত থাকতে পারে। ১৮ বছর পরে লম্বা না হওয়ার পিছনে সবথেকে যে বাধ্যবাধকতা কাজ করে থাকে তাহলে মানসিক চাপে। মানসিক চাপ হল মানুষের গোপন শত্রু। মানসিক চাপ মানুষের অনেক রকমের ক্ষতি করতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো শারীরিক বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটানো।
- যদি কারো মানসিক চাপ থাকে তাহলে সে 18 বছর পরে আর লম্বা হতে পারবেনা। সাধারণত ১৮ বছর থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত লম্বা হওয়ার প্রবণতা থাকে। কিন্তু এই বয়সের মধ্যে যদি কারো অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকে তাহলে তার লম্বা হওয়ার গ্রোথ হরমোনকে প্রভাবিত করে গ্রোথ হরমোনের কার্যকারিতা নিঃশেষ করে ফেলে। এজন্য সে আর লম্বা হতে পারে না।
- আপনি যদি উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চলেন এবং যে পদ্ধতি গুলো আপনাদের সামনে উল্লেখ করা হয়েছে তাহলে আপনি অবশ্যই লম্বা হবেন। এই তথ্যগুলো ব্যতীত আপনি যদি লম্বা হতে চান তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কারণ বর্তমানে অনেক প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষকে কৃত্রিমভাবে লম্বা করার পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে।
- বর্তমানে বেশ কিছু ঔষধ আবিষ্কৃত হয়েছে যেগুলো সেবনের ফলে মানুষের দুই থেকে তিন ইঞ্চি পরিমাণ লম্বা হচ্ছে। আজকে যে আলোচনা করা হলো সে আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন মানুষ কেন লম্বা হয় না, কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে এবং কিভাবে ঘুমালে লম্বা হওয়া যায়।
কি খেলে লম্বা হওয়া যায় | লম্বা হওয়ার জন্য কি কি খেতে হবে
নিয়মিতভাবে সুস্থ্য-সক্রিয় জীবন-যাপন করতে পারলে উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব। শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস উচ্চতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।কি খেলে লম্বা হওয়া যায় বা লম্বা হওয়ার জন্য কি কি খেতে হবে। সে সম্পর্কে আসুনে জেনে নেওয়া যাক।
- পানি পান করুন
প্রতিদিনপর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে, কম হলেও দুই লিটার। কি খেলে লম্বা হওয়া যায় এই প্রশ্নের একটি উত্তর হল প্রচুর পানি পান করা। এতে ত্বক সুন্দর হয়।
- মিনারেলস
আমাদের দেহে প্রতিটি কাজে মিনারেলের ভূমিকা রয়েছে।পর্যাপ্ত পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের মিনারেল খাবার তালিকায় রাখতে হবে। হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে মিনারেল একান্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। বিষেশভাবে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যেন পরিমাণ মতো গ্রহণ করা হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
গরুর দুধে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের উন্নয়ন ও হাড় শক্তিশালীকরণে কাজে লাগে। গরুর দুধে থাকা ভিটামিন এ দেহের ক্যালসিয়াম সংরক্ষণেও কাজ করে। ক্যালসিয়াম প্রাকৃতিকভাবে উচ্চতা বাড়ানোর সহায়ক উপাদানগুলোর একটি।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ছোট মাছ, খেজুর, বাধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকলি, পালংশাক, পুঁই শাক ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম আছে।
মাল্টা, পেপে, আমে আছে ভিটামিন, পটাশিয়াম এবং আঁশ। এর সবগুলো উপাদান হাড়ের বৃদ্ধি এবং উচ্চতা বৃদ্ধিতেন কাজ করে।
কাজুবাদামে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম যেগুলো হাড়ের বৃদ্ধিতে জরুরি খনিজ উপাদান।
বাদামও উচ্চ পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ। এতে যে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যামাইনো এসিড থাকে তা দেহের টিস্যু মেরামত এবং নতুন হাড় ও মাংসপেশির বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ফলে উচ্চতাও বাড়ে।
কালো তিলে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন বি ও আয়রন। এটি ক্যালসিয়ামেরও ভালো উৎস। হাড়ের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক উপাদান।
ডিম উচ্চতা বাড়াতে সবচেয়ে কার্যকর জনপ্রিয় খাদ্য। ডিমে আছে জিংক ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং রিবোফ্ল্যাবিন। ডিমে থাকা উচ্চমাত্রার প্রোটিন উপাদান হাড়ের উন্নয়ন ও হাড়কে শক্তিশালীকরণে কাজ করে।
অশ্বগন্ধা এইচজিএইচ হরমোন নিঃসরণের হার ঠিক রাখে। আর এ কারণেই এটি উচ্চতা বৃদ্ধিতে এতটা কার্যকর। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং ঘনত্ব বাড়াতেও কার্যকর।
খালি পেটে তালের গুড় ও দুধ মিশ্রণ করে খেলে দুর্দান্ত ফল পাওয়া যায়। দুধের সঙ্গে তালের গুড় মিশিয়ে খালি পেটে দুধের কার্যকারিতা দশগুন বৃদ্ধি পায়।
কালো তিল,কাজুবাদাম,অশ্বগন্ধা,দুধ সবগুলো উপাদান মিলে উচ্চতা বাড়ায়। প্রতিদিন রাতে দুধের সঙ্গে এক চামচ অশ্বগন্ধা, কাজুবাদাম এবং কালো তিলের পাউডার মিশিয়ে পান করুন।
কুমড়ো বীজ ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ। যা হাড় ও দাঁতের গঠনের জন্য জরুরি। এছাড়া এতে আছে অ্যামাইনো এসিড যা উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্য দেহ থেকে বর্জ্য নিঃসরণে সহায়ক । যার ফলে আমরা যা কিছুই খাই না কেন তার কার্যকারিতা বেড়ে যায়। এই জাতীয় খাদ্য ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ যা হাড়ের জন্য দরকারি। এছাড়া এতে আছে ক্যালোরি যা বয়ঃসন্ধিকালে উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক।
গাজর ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ। হাড়ে ক্যালসিয়াম সংরক্ষণ এবং হাড়ের বৃদ্ধিতে উৎসাহ যোগায় এসব উপাদান। প্রতিদিন অন্তত ৩টি করে গাজর খেলে দেহের উচ্চতা বাড়ে।
দুগ্ধজাত খাবার, মাছ, মাংস, এমনকি সবজিতেও ফসফরাস রয়েছে।
আয়রন পাওয়া যায় খেজুর, ডিমের কুসম, কলিজা, গরুর মাংসে।
ম্যাগনেসিয়াম আছে আপেল, জাম্বুরা, ডুমুর, লেবু ইত্যাদিতে।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে জানা যায় যে,কি খেলে লম্বা হওয়া যায় অথবা লম্বা হওয়ার জন্য কি কি খেতে হবে।
- ভিটামিন
আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের ভিটামিনই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফল থেকে পাওয়া যায়। তাই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- ভিটামিন-বি১ আছে চীনা বাদাম, লাল চাল ও গমে।
- ভিটামিন-বি২ আছে মাছ, ডিম, দুধে।
- ভিটামিন-বি৬ রয়েছে বাধাকপি, কলিজা, গরুর মাংসে।
- ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায় মাছের তেল, দুগ্ধজাত খবার থেকে।
- ভিটামিন ‘ই’ আছে ডিম, সয়াবিন, গমে।
- ভিটামিন ‘এ’ আছে ডিমের কুসুম, গাজর, দুধ ও কলিজায়।
- প্রোটিন
শিমের বিচিতে আছে প্রচুর ভিটামিন এবং প্রোটিন যা আপনার উচ্চতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভুমিকা পালন করে। শীমে থাকা খনিজ উপাদান টিস্যু এবং মাংসপেশি গঠনে কাজ করে। যা স্বাভাবিকভাবেই উচ্চতা বাড়ায়।
ডাল বা মটরশুটি এই জাতীয় খাদ্য নানা ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ যা উচ্চতা বাড়ায়এছাড়া মটরদানা জাতীয় খাদ্যে উচ্চতা বৃদ্ধির হরমোনও আছে।
ব্রোকলিতে আছে উচ্চহারে ভিটামিন সি, আঁশ এবং আয়রন। এটি দেহের কার্যক্রম ঠিক রাখতে এবং দৈহিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী হরমোন রয়েছে।
শালগমতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পুষ্টি এবং খাদ্য আঁশ। এটি আমাদের দেহের বৃদ্ধির জন্য দায়ী হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে।
সবুজ পাতাবহুল শাক-সবজিতে থাকে প্রচুর খাদ্য আঁশ, ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। এছাড়া দেহের গ্রোথ হরমোন নিঃসরণে উদ্দীপনা যোগায়।
সয়াবিনে যে প্রোটিন থাকে তা হাড় এবং টিস্যুর ঘনত্ব বাড়ায়। যা তাদের বৃদ্ধির জন্যও জরুরি। নিয়মিতভাবে খেলে আপনার হাড়ের আকার ভালো থাকবে এবং স্বাস্থ্যকর উন্নয়ন হবে। প্রতিদিন অন্তত ৫০ গ্রাম সয়া বিন খেতে হবে।
- কার্বোহাইড্রেট
অনেকেই লম্বা হওয়ার জন্য কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করে থাকেন। বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট লম্বা হওয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। কারণ অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ মানে রক্তে অতিরিক্ত গ্লকোজ।ফলে ইনসুলিন হরমোন বেশি নিঃসৃত হব। ইনসুলিন দেহের গ্রোথ হরমনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাই খাবার তালিকায় লাল আটা, লাল চাল ইত্যাদি রাখুন।
৫-৬ ইঞ্চি লম্বা হওয়ার উপায়
আমরা জানবো কিভাবে ৫-৬ ইঞ্চি লম্বা হওয়ার উপায় বা আদৌ ৫-৬ ইঞ্চি লম্বা হওয়া যায় কিনা? ৫-৬ ইঞ্চি লম্বা হওয়ার উপায় সমূহ রয়েছে। যা সঠিক অনুসরণে আপনি ৫-৬ ইঞ্চি লম্বা হতে পারবেন।
উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক পুষ্টি খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ ও ডি সম্পন্ন খাবার প্রায়শই খান। দুধ, মাংস, মাছ, ডাল, ফল এবং শাকসবজি আপনার ডায়েটে অবশ্যই থাকতে হবে।
৬ ফুট লম্বা হওয়ার উপায়
আজ আপনাদের মাঝে কিছু সত্য কথা তুলে ধরবো। অনেকেই হয়তো তাদের আর্টিকেলে ৬ ফুট লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বলে থাকে কিন্তু প্রকৃত অর্থে ৬ ফুট লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন উপায় বা পদক্ষেপ নেই। কেননা আমাদের উচ্চতা জেনেটিক এবং পরিবেশের সমন্বয়ে নির্ধারিত হয়। এটি আপনার পিতামাতার উচ্চতা এবং জেনেটিক ফ্যাক্টরের মধ্যে নির্ধারিত হয়।
তবে, সেই সময়ে বয়স, পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং জীবনযাপনের একটি পরিবর্তনশীল ব্যবস্থা আপনার উচ্চতা প্রভাবিত করতে পারে। সুতরাং ৬ ফুট লম্বা হওয়ার উপায় কোন নির্দিষ্টতা নেই কিন্তু আপনি নিম্নের উপায় গুলো ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করলে ইনশাআল্লাহ স্বাভাবিকভাবে লম্বা হতে পারবেন।
৬ ফুট লম্বা হওয়ার উপায় বা স্বাভাবিকভাবে লম্বা হওয়ার উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য তালিকায় থাকবেন। স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা আপনার শরীর উন্নতি করতে সহায়তা করতে পারে।
শারীরিক প্রশিক্ষণ, ব্যায়াম ও উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত কার্যক্রমের সাথে নিয়মিত পানি পান করা উচিত। এটি মানসিক স্বাস্থ্য এবং উচ্চতা প্রভাবিত করতে পারে।
উপযুক্ত আয়তনের বস্ত্র ব্যবহার করুন। আপনি উচ্চতর হয়ে থাকতে পারবেন যখন আপনি উচ্চতর বস্ত্র পরিধান করবেন।
আপনার শরীরের মাংসপেশীর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ব্যায়াম করা উচিত। উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত বাল্যকালে স্পীনিং, বাস্কেটবল খেলার কথা চিন্তা করতে পারেন।
উপরে বর্ণিত উপায় গুলো ৬ ফুট লম্বা হওয়ার উপায় সময়ের অন্তর্ভুক্ত নয়। কিন্তু আপনি উপরোক্ত উপায় গুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে স্বাভাবিকভাবে লম্বা হতে পারবেন।
১৭ বছর বয়সে লম্বা হওয়ার উপায়
১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সে মধ্যে লম্বা হওয়া উপায় গুলো সঠিকভাবে কাজ করে। কেননা এই বয়সে নিম্নোক্ত উপায় গুলো ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করতে পারলে সে খুব সহজে তার উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। সুতরাং ১৭ বছর বয়সে লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জিংক এবং ভিটামিন প্রয়োজন। মাংস, মাছ, ডাল, সবুজ শাক- সবজি, ফল এবং শুধুমাত্র দুধ আপনার পুষ্টিকর আহারের একটি অংশ হতে পারে।
নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম আপনার শরীরের নিয়মিত উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রতিদিনের ঘুম সময় দেয়ার চেষ্টা করুন এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
উচ্চতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিনে স্বাস্থ্যকর ব্যায়াম করা যেতে পারে। যোগাসন ও স্ট্রেচিং উচ্চতা বৃদ্ধি সাহায্য করতে পারে। তবে ব্যায়াম শুরু করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত, যাতে আপনার শারীরিক যোগ্যতা এবং স্বাস্থ্যের বিষয়ে নিরীক্ষা হয়।
মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা: মানসিক চাপ ও তানাব হারানো শক্তিকে শরীরের বিকাশে বাধা দেয়। ধ্যান, মেডিটেশন, পর্যাপ্ত আরাম, পজিটিভ মনের অনুভূতি প্রাক্তনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা করতে পারেন।
যদি আপনি লম্বা হওয়ার সময়ে কোনও সমস্যা বা চিন্তা আনুভব করেন, তবে প্রথমেই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তিনি আপনাকে পরীক্ষা করবেন এবং আপনার বিশেষ পরিস্থিতি ও প্রতিক্রিয়াগুলির উপর ভিত্তি করে পরামর্শ প্রদান করবেন।
১৭ বছর বয়সে লম্বা হওয়ার উপায় গুলো অনুসরণের মাধ্যমে খুব সহজে লম্বা হতে পারবেন। কেননা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পূর্বেই আপনি যদি এই উপায়গুলোর যথাযথ পালন করেন তবে আপনার দৈহিক বৃদ্ধি ও উচ্চতা খুব সহজে বৃদ্ধি পাবে।
সুতরাং আমি হয়তো আপনাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি ১৭ বছর বয়সে লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। অতএব, ১৮ বছরের পর লম্বা হওয়ার উপায় অথবা ২০ বছরের পর লম্বা হওয়ার উপায় অথবা ২৫ বছর পর লম্বা হওয়ার উপায়, এই বয়স সীমার মধ্যে লম্বা হওয়া সম্ভব যদি নিয়ম মেনে চলা যায়।
পরিশেষ
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, মেয়েদের দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায় আছে এবং১৮ বছর পরেও কি বৃদ্ধি হওয়া সম্ভব। কিন্তু বৃদ্ধির পরিমাণ এত অল্প হবে যে সেরকম বৃদ্ধি পাওয়ার দরকার নেই। আপনি ২৫ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবেন। আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে, কিন্তু সেটার পরিমাণ হবে খুব সামান্য।
আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url